সেই সৌদি প্রিন্স জীবিত আছেন, বন্দী রাখা হয়েছে অজ্ঞাত স্থানে

|

Bahaa, the eldest son of Lebanon's slain former prime minister Rafiq Hariri, looks on as Saudi King Fahd's son, Prince Abdulaziz, talks to reporters after offering his condolences to the Hariri's at their residence in Beirut 18 February 2005. Calls mounted for the resignation of the Damascus-backed Lebanese regime amid international pressure to catch Hariri's killers and stark US warnings to Syria to end its domination of its smaller neighbor. The five-time prime minister was killed along with 14 other people in a huge explosion in the heart of the Lebanese capital 14 February. AFP PHOTO/JOSEPH BARRAK / AFP PHOTO / JOSEPH BARRAK

সাবেক সৌদি বাদশাহ ফাহদ বিন আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল আজিজ বিন ফাহদ বেঁচে আছেন। সৌদি ভিত্তিক পত্রিকা আরব২১ এর বরাতে নতুন এই তথ্য জানিয়েছে মিডলইস্ট আই।

সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৭ সালের সেপ্টম্বরে এই সৌদি প্রিন্সের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে রাজপরিবার ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দমন অভিযানের অংশ হিসেবে প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন ফাহদকেও গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের সময় নির্দয়ভাবে মারধর ও অপমান করার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজপ্রাসাদ থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। মূলত একারণেই মৃত্যুর গুজব ছড়ায়। আরব২১ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবু ধাবির যুবরাজ মোহম্মাদ বিন জায়েদের সমালোচনা করে টুইট করার পর তাকে সেগুলো সরিয়ে ফেলতে বলা হয়।

কিন্তু আব্দুল আজিজ না সরালে মোহাম্মদ বিন জায়েদের অনুরোধেই তাকে গ্রেফতার এবং ওইসময় অপমানজনকভাবে মারধর করা হয়। মারধরের দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করে আবু ধাবির যুবরাজের কাছে পাঠানো হয়েছিল বলেও পত্রিকাটি জানিয়েছে।

গ্রেফতারের আগে আব্দুল আজিজ স্পেনে অবসরকালীন ছুটিতে ছিলেন। বাদশাহ সালমান তাকে ফোন করে সৌদিতে নিয়ে আসেন। বাদশাহর সাথে বৈঠক শেষে তাকে গ্রফতার করা হয়। মারধরের কারণ অসুস্থ হয়ে পড়ার পর অজ্ঞাত কোনো হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

প্রিন্স আব্দুল আজিজ বর্তমানে জীবিত আছেন এমনটি তার পরিবারের সদস্যরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিশ্চিত করেছেন। তারা নিয়মিত সাক্ষাৎ করছেন বলেও জানান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply