বেড়েই চলেছে পশ্চিমাদের কাছে ইউক্রেনের আবদার

|

পশ্চিমাদের কাছে ইউক্রেনের আবদার যেনো বেড়েই যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ কয়েকটি দেশ ট্যাঙ্ক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর জেলেনস্কি সরকারের নজর এখন যুদ্ধ বিমানে। ইউক্রেনের আশা, রাশিয়াকে মোকাবেলায় মিত্রদের কাছ থেকে পরমাণু অস্ত্র ছাড়া সবকিছুই পাবে তারা।

যুদ্ধের শুরু থেকেই পশ্চিমাদের পাশে পাচ্ছে ইউক্রেন। নানাভাবে দেশটিকে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ অন্যান্য মিত্র দেশগুলো। সংঘাত যত দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে, পশ্চিমা সহায়তা ততই বাড়ছে। অনেকেই এই যুদ্ধকে রাশিয়ার সাথে পশ্চিমাদের প্রক্সি ওয়ার হিসেবে দেখছেন।

যুদ্ধের শুরুতে শুধুই মানবিক সাহায্য পেয়েছে ইউক্রেন। এরপর স্বল্প পরিসরে অস্ত্র পেতে শুরু করে দেশটি। প্রথমদিকে প্রতিরক্ষার অস্ত্র পেলেও এখন ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণের জন্য পশ্চিমাদের কাছ থেকে পাচ্ছে ট্যাঙ্কের মতো ভারি যুদ্ধযান। একের পর এক অস্ত্র পেয়ে ইউক্রেনের চাহিদাও যেন বাড়ছে। এবার তাদের চাওয়া যুদ্ধবিমান।

বর্তমানে ইউক্রেনের কাছে যেসব ফাইটার জেট আছে সবই সোভিয়েত যুগের। তাই দেশটির দাবি, যুদ্ধের ময়দানে রাশিয়াকে মোকাবেলায় দরকার এফ’১৬’র মতো চতুর্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর উপদেষ্টা ইউরিয়ে স্যাক বলেন, আমাদের পরবর্তী চাওয়া যুদ্ধবিমান। এগুলো পেলে যুদ্ধের ময়দানে আমরা আরও ভালো লড়াই করতে পারবো। প্রথমে তারা আমাদের ভারী অস্ত্র দিতে চায়নি। পরে দিয়েছে। আমাদের তারা হাইমার্স সিস্টেম দিতেও রাজি ছিল না। এরপর সেটাও দিয়েছে। ট্যাঙ্কও দিতে চায়নি। এখন আমরা ট্যাঙ্ক পাচ্ছি। আমার ধারণা, পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়া সবই পাবো আমরা।

যদিও জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ এরইমধ্যে জানিয়েছে ইউক্রেনকে যুদ্ধ বিমান দেয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে এর আগে লেপার্ড ২ সরবরাহের বিরোধিতা করলেও পরে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে জার্মানি। যুক্তরাষ্ট্রও ভারী অস্ত্র পাঠাতে না চাইলেও পরে সিদ্ধান্ত পাল্টেছে।

বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, এভাবে ইউক্রেনে পশ্চিমা সহায়তা অব্যাহত থাকলে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply