আরও বইমেলা আয়োজন প্রসঙ্গে লেখক প্রকাশকদের ভাবনা

|

অমর একুশে বইমেলা ছাড়াও বছরে আরও একটি বইমেলা করা যায় কিনা; এ নিয়ে রয়েছে লেখক ও প্রকাশকদের নানা মত। অনেকের মনে আন্তর্জাতিক বইমেলা করতে না পারা নিয়েও আক্ষেপ আছে। বৃষ্টির কারণেও লোকসান গুনতে হয়, তাই ইনডোর বইমেলার কথাও বলছেন কেউ কেউ।

কেবল ফেব্রুয়ারি মাসেই অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজন। বছরের অন্য সময় এমন আয়োজন করা যায় কিনা; এ নিয়ে ভাবনা আছে প্রকাশকদেরও। পুস্তক প্রকাশক নূর-ই-মোনতাকিম আলমগীর বলেন, বছরে ২-৩টি বইমেলা করা গেলে তা অবশ্যই ভালো উদ্যোগ হবে। তাহলে মানুষ সুযোগ নিয়ে আরও বই কিনতে পারবে। প্রকাশকদের জন্যও লাভজনক হবে এমন উদ্যোগ।

প্রকাশক রবিন আহসান বলেন, এখন আমরা শুরু করতে পারলে হয়তো ৫০ বছর পর উল্লেখযোগ্য কিছু একটা দাঁড়াবে। আমরা যেহেতু শুরুই করতে পারছি না, তাই একটিমাত্র বইমেলা থেকে আমাদের আশা করার কিছু নেই।

বাঙালির প্রাণের মেলা বাংলা একাডেমির বইমেলা। লেখকরা বলছেন, ভাষার মাসের বাইরেও এমন আয়োজন থাকতে পারে। লেখক ও সাংবাদিক মুনির হাসান বলেন, যদি পুস্তক প্রকাশকরা আরও একটি বইমেলা করতে চান তবে করতে পারেন। স্কুল-কলেজও এ ধরনের উদ্যোগ নিতে পারে। স্কুলে যেমন বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়, সেখানে স্টল থাকতে পারে।

তবে, বইমেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আরও উন্নত করা দরকার, এমন অভিমতও আছে। কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, পুরো জায়গাটাকে পরিচ্ছন্ন করতে হবে। যেখানে পাকা মেঝে দরকার সেখানে মেঝে, যেখানে সবুজ ঘাস দরকার সেখানে ঘাস লাগাতে হবে। গাছ লাগানো, কয়টা গাছ লাগাতে হবে তা হিসেব করা। সীমানা কতদূর হতে পারে, আলোর ব্যবস্থা করা- বইমেলা আমাদের মর্যাদার প্রতীক হওয়া উচিত।

প্রতি বছর বইমেলায় বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন প্রকাশকরা। সেক্ষেত্রে ইনডোর মেলার যৌক্তিকতাও তুলে ধরেন কেউ কেউ। নূর-ই-মোনতাকিম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশে প্রকাশনার সংখ্যা অনেক। সবাইকে একটা ছাদের নিচে নিয়ে আসতে হলে সেই পরিমাণ জায়গার ব্যবস্থা করেই আনতে হবে।

আরও পড়ুন: বিলুপ্ত হবে কাগজের বই, নাকি ই-বুকের সাথে সহাবস্থান?

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply