চবিতে আবাসন সংকট চরমে; উদ্বোধনের পরও অব্যবহৃত ৩টি ছাত্রাবাস

|

শহিদুল সুমন:

উদ্বোধনের ৮ বছর পরও অব্যবহৃত পড়ে আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি ছাত্রাবাস। অথচ আবাসন সংকট এখনও হাজার হাজার শিক্ষার্থীর বাস্তবতা। গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে তাদের। ছাত্রাবাসের চরম সংকটের মধ্যেও সম্পূর্ণ প্রস্তত ৩টি ছাত্রাবাস এভাবে ফেলে রাখায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের ১৩৪ নম্বর কক্ষের দরজা দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা। কক্ষের ভেতরের চিত্র আরও ভয়াবহ। দু’জন থাকার কথা থাকলেও ছোট্ট কক্ষটিতে থাকছেন পাঁচ শিক্ষার্থী। এমন চিত্র অন্যান্য কক্ষগুলোর জন্যও সত্যি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর বিপরীতে আবাসিক হল মাত্র ১১টি। ফলে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা পেলেও বাকি ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী এর বাইরে। হলে বসবাসরতদেরও ভোগান্তির শেষ নেই।

শিক্ষার্থীরা জানান, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মতো গাদাগাদি করে থাকতে হয় তাদের। দুইজনের কক্ষে বাধ্য হয়ে ৪-৫ জনকে থাকতে হচ্ছে। পড়াশোনার কোনো পরিবেশ নেই। অথচ ছাত্রদের জন্য নির্মিত বঙ্গবন্ধু হল ৮ বছর আগে, অতীশ দীপংকর হল এবং ছাত্রীদের জন্য নির্মিত শেখ ফজিলাতুন নেসা হল এক বছর আগে উদ্বোধন হলেও চালু করা যায়নি এখনও। শিক্ষার্থীরা জানান, নতুন হলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ দেয়া না হলে পুরনো হলগুলোতেই উঠতে হচ্ছে তাদের।

৩টি ছাত্রাবাস এভাবে অব্যবহৃত ফেলে রাখার কারণ হিসেবে জনবল সংকটের কথা বলছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হোসেন ভূইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের যদি আমরা আবাসিক ছাত্র হিসেবে হলগুলোতে তুলে দিতে চাই, সেক্ষেত্রে লোকবল দরকার। লোকবলের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি। সেটা হয়ে গেলেই শিক্ষার্থীদের স্ব-স্ব হলে তুলে দেয়া হবে।

আবাসন সুবিধার অভাবে শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের মেস এবং শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে বাধ্য হন।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply