গিজার ব্যবহারে সাবধান

|

ছবি: সংগৃহীত

শীতের সময়ে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার জন্য গোসলের পানি গিজার দিয়ে গরম করে থাকেন অনেকেই। গিজারের ফলে পানি গরমের কাজ অনেক সহজ হয়ে গেছে। কিন্তু গিজার ব্যবহার করা যতটা উপকারী, একটু বেখেয়ালি হলে ঠিক ততটাই বিপজ্জনক।

গিজার ব্যবহারের পাশাপাশি প্রায় সকলেরই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যদি এই সতর্কতা অবলম্বন না করা হয় তবে গিজার সকলের জন্য মারাত্মক হতে পারে।

অনেক সময় আমরা আমাদের গিজার বন্ধ করতে ভুলে যাই। সেক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ গিজার চালু থাকলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এই কারণে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে, এই জাতীয় যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যেতে পারে।

গিজার চালু করা এবং গিজার বন্ধ করার সময় মনে রাখতে হবে, যাতে গিজার বন্ধ করতে ভুল না হয়। বর্তমানে গিজারগুলিতে স্বয়ংক্রিয় সুইচ পাওয়া যায়, যাতে সেগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

গিজার কিনে নিজে সেটি ফিট করা উচিত নয়। গিজার ফিট করার সম্পর্কে দক্ষ কাউকে দিয়ে কাজটি করানো উচিৎ। তা না হলে গিজারের কিছু তার এখানে-ওখানে বেরিয়ে যেতে পারে। ফলে গিজার ফেটে যেতে পারে, শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনা তো রয়েছেই। এছাড়া গিজার কেনার সময় অবশ্যই আইএসআই চিহ্ন দেখে কেনা উচিত।

গিজারে বিউটেন এবং প্রোপেন নামের গ্যাস রয়েছে যা কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি করে। সেজন্য বাথরুমে গিজার বসানোর সময় অবশ্যই একটি এক্সজস্ট ফ্যান লাগাতে হবে, যাতে গিজার থেকে বের হওয়া গ্যাস বাথরুমে জমে না যায়। এই গ্যাসগুলি মানুষের শরীরের জন্য ভালো না।

সবসময় এমন জায়গায় গিজার লাগাতে হবে, যা শিশুদের নাগালের বাইরে এবং শিশুরা যাতে তা স্পর্শ করতে না পারে সেই খেয়াল রাখতে হবে। আসলে, অনেক সময় গিজার শকও দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এটি শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply