গাইবান্ধায় কনক হত্যা মামলায় দুই ভাইসহ গ্রেফতার ৩

|

কনক হত্যা মামলার তিন আসামী।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক কনক প্রামাণিক (১৯) হত্যা মামলায় দুই সহোদরসহ তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটিও উদ্ধার করেছেন পুলিশ সদস্যরা।

এর আগে, গত শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে নিখোঁজের ৬ দিন পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উপজেলার সাহেবগঞ্জ খামার এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় অটোরিকশা চালক কনক প্রামাণিকের মরদেহ। এরপর টানা ১৮ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের সরাসরি জড়িত তিনজনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি চুরি যাওয়া অটোরিকশাটিও উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গোবিন্দগঞ্জের রামপুরা সরকারপাড়া গ্রামের হেলাল মিয়া (২২), দেলাল মিয়া (২০) ও একই উপজেলার ক্রোড়গাছা গ্রামের সৌরভ মণ্ডল (২০)।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ থানা থেকে পাঠানো এক প্রেস রিলিজে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি ইজার উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজে জানানো হয়, গত শনিবার দুপুরে সাহেবগঞ্জ খামার এলাকার পুকুর থেকে কনক প্রমাণিকের (১৯) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। তার নিখোঁজের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি জিডি করা হয়। পরে নিখোঁজের ছয়দিন পর তার মরদেহ স্থানীয় একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হলে ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করাসহ জড়িতদের গ্রেফতারে তৎপরতা চালায় পুলিশ।

এরই ধারাবাহিকতায়, সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) উদয় কুমার সাহার নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম প্রযুক্তির সহায়তায় কনক হত্যা রহস্যের উন্মোচন ও ছিনতাইকৃত ইজিবাইক উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। পুলিশের টিমটি গাইবান্ধা জেলা ছাড়াও রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকাসহ বিভাগের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট ৩ জনকে গ্রেফতার করে। এরপর তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ছিনতাই করা অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়।

প্রেস রিলিজে আরও জানানো হয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেয়ার সময় চালক কনককে গলাটিপে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। হত্যার পর হাত-পা বেধে কনকের মরদেহ পুকুরের ফেলার কথাও স্বীকার করে তারা।

গ্রেফতার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি, (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, তিন আসামিকে আদালতে নেয়া হলে তারা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply