যুক্তির সীমা অতিক্রম করা একমাত্র ফুটবলার পেলে; কিংবদন্তিদের চোখে ফুটবলের রাজা

|

ছবি: সংগৃহীত

ফুটবল নামক খেলাকে প্রথমে শিল্প ও পরবর্তীতে সেই শিল্পকেই বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করার সর্বপ্রথম দাবিদার তিনি। ক্লাবের সেরা, দেশের সেরা, সময়ের সেরা থেকে সর্বকালের সেরা- স্থান, কালের সীমানাকে পায়ের জাদুতে মুছে ফেলতে পেরেছেন এমন ফুটবলারের দেখা পৃথিবী কমই পেয়েছে। ফুটবল খেলার ধরনে বিপ্লব নিয়ে আসা সেই ছোট্ট তালিকার সর্বশেষ সংযোজন যদি হন লিওনেল মেসি, তবে প্রথম নামটি অবশ্যই পেলে। ম্যারাডোনার সাথে সেই তালিকায় ইয়োহান ক্রুইফকেও রাখতে পারে অনেকেই। সেই ক্রুইফের চোখেও অনন্য উচ্চতায় পেলে। ডাচ এই কিংবদন্তির ভাষায়, যুক্তির সীমাকে অতিক্রম করে যাওয়া একমাত্র ফুটবলারই পেলে।

কাতার বিশ্বকাপে রূপকথার ঢঙে বিশ্ব জয়ের পর ‘সর্বকালের সেরা কে’ বিতর্কের পালে নতুন করে হাওয়া দিয়েছেন লিওনেল মেসি। পেলে ও ম্যারাডোনার সাথে একই তালিকায় পৌঁছে যাওয়া, সবার উঁচুতে আরোহণ করা এই ছোট্ট আর্জেন্টাইনকে এখন থেকে শুরু করে হয়তো দশক-যুগের সীমানা পেরিয়ে বিবেচনা করা হবে সর্বকালের সেরা হিসেবেই। কিন্তু কাল অতিক্রম করার ধারণাটিই যে পেলের আবিষ্কার! ফুটবলার হিসেবে প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক মহাতারকা হওয়ার সেই কৃতিত্ব পেলের কাছ থেকে কেউ কেড়ে নিতে চাইলে অবশ্যই তাতে বাধ সাধবে মহাকাল। ফুটবল কিংবদন্তিরাও তাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার জোরে বলেছেন পেলে সম্পর্কে। সেরাদের সেরা যে সবাই হয় না!

‘আমার দেখা সবচেয়ে পরিপূর্ণ ফুটবলার হচ্ছে পেলে।’ – ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার

‘যদি আপনি লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ফুটবলীয় স্কিলগুলোকে একসাথে রাখেন তবে সমন্বিতভাবে যাকে পাবেন, তার সাথেই কেবল পেলের তুলনা চলে।’ – ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার টোস্টাও

‘সর্বকালের সেরা ফুটবলার? পেলে। লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দু’জনই গ্রেট ফুটবলার যাদের অসাধারণ সব যোগ্যতা রয়েছে। তবে, পেলে ছিলেন তাদেরও চেয়েও ভালো।’ – আলফ্রেডো ডি স্টেফানো

‘তার সাফল্য ও জনপ্রিয়তার রহস্য হচ্ছে তাৎক্ষণিক উদ্ভাবনী শক্তি। হুট করেই এক মুহূর্তে অবিশ্বাস্য কিছু করে ফেলতে পারতো সে। ফুটবল কেন্দ্রীক অনন্য সাধারণ ধারণাও ছিল তার।’ – কার্লোস আলবার্তো তোরেস

‘ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ের নাম আলফ্রেডো ডি স্টেফানো। কারণ, খেলোয়াড় হিসেবে আমি পেলেকে বিবেচনাই করি না। সে এই সবকিছুর ঊর্ধ্বে।’- ফেরেঙ্ক পুসকাস

‘যখন পেলেকে খেলতে দেখেছিলাম, মনে হয়েছিল আমার উচিত নিজের বুট জোড়া তুলে রাখা।’ জাস্ট ফন্টেইন (১৯৫৮ বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ১৩ গোল করেছিলেন)

‘যে মুহূর্তে বল গিয়ে পৌঁছুলো পেলের পায়ে, অনিন্দ্য সুন্দর কবিতায় পরিণত হলো ফুটবল।’ – ইতালিয়ান কবি পিয়ের পাওলো পাসোলিনি

আরও পড়ুন: ‘ম্যাচের আগে ভেবেছিলাম সে রক্ত-মাংসের মানুষ; পরে দেখলাম ভাবনাটাই ভুল’

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply