শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

|

কিছুদিন আগে শহীদ মিনারে হামলার শিকার হয়েছিলেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা। এবার হামলার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। হামলার অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। তবে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দাবি, হামলার সাথে ছাত্রলীগ জড়িত নয়। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, এ ঘটনার জন্য কিনা হামলার শিকার শিক্ষকদেরই দায়ী করেছেন।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। কিন্তু, তাদের আগেই অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি শুরু হলে তারাও পাল্টা কর্মসূচি শুরু করে।

এক পর্যায়ে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাইক কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে ছাত্রলীগ। মিছিল শুরুর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে রাজু ভাস্কর্য অভিমুখে মিছিল শুরু করেন তারা।

মিছিলটি শহীদ মিনার আবাসিক এলাকার মোড়ে আসলে হামলার শিকার হন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ ছাত্রলীগই হামলা চালিয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা শহীদ মিনারে ফিরে যান। সেখানেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষকদের সাথে বিতণ্ডায় জড়ান।

তবে, মারধরের ঘটনার সাথে ছাত্রলীগ জড়িত নয় বলে দাবি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনের। পরে শহীদ মিনারে প্রক্টর অফিসের একটি গাড়ী এসে সবাইকে সরে যেতে বলে। ক্ষুব্ধ নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা চড়াও হন প্রক্টোরিয়াল টিমের সদস্যদের ওপর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ঘটনায় কারা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে, আমাদের সহকর্মীরাও অনুমতি ছাড়া কর্মসূচি পালন করেছেন। আমরা সবাইকে সরে যেতে বললেও তারা কেউ শুনেছি। ফলে, এমন একটি ঘটনা ঘটেছে।

হামলার শিকার গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদুল হক বলেন, তারা শিক্ষকদের নামে কটূক্তি করেছে, বাজে কথা বলেছে। আমরা প্রক্টিরিয়াল বডির সাহায্য চেয়েছি, কিন্তু তারা এগিয়ে আসেননি।

শিক্ষকদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজীম উদ্দীন খান, আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply