জার্মান থেকে ‘রহস্যময় পার্সেল’ পৌঁছেছে ইউক্রেনের বিভিন্ন দূতাবাসে

ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি কিয়েভের একাধিক বিদেশি দূতাবাসে রহস্যজনক কিছু পার্সেল পৌঁছেছে। যার ভেতরে পশুর রক্তাক্ত দেহাংশ পাওয়া গেছে। খবর ডয়চে ভেলের।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জানিয়েছেন, দেশের একাধিক বিদেশি দূতাবাস ৩১টি এমন প্যাকেজ পেয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষায় জানা গেছে, সেগুলি জার্মানি থেকে গেছে। প্যাকেজগুলির ভিতর পশুর চোখ রয়েছে। চোখগুলি যাতে পচে না যায়, তার জন্য একটি তরল রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে। কেবলমাত্র ইউরোপীয় দেশের দূতাবাসগুলিতেই এই প্যাকেজ পাঠানো হয়েছে।

কুলেবা জানিয়েছেন, প্রতিটি প্যাকেজের মধ্যে প্রেরকের একই ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানির বাডেন রাজ্যের একটি টেসলা ডিলারশিপের ঠিকানা ব্যবহার করেছে প্রেরক। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ওই প্যাকেজগুলি পাঠানো হয়েছে। প্যাকেজগুলিতে কোনোরকম হাতের ছাপ বা ডিএনএ নমুনা যাতে না থাকে, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে প্যাকেটগুলি পরীক্ষা করে কোনো তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও প্রেরক জানতো যে, পোস্ট অফিসে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো নেই।

যেসব দেশের দূতাবাসে এই প্যাকেজ গেছে, সেই দেশগুলির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন কুলেবা। রাশিয়ার আক্রমণের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং গোয়েন্দারা এর তদন্ত শুরু করেছে বলে ইউক্রেন জানিয়েছে। কিছুদিন আগেই ইউক্রেনের স্পেন দূতাবাসে একটি চিঠি বোমা উদ্ধার করা হয়েছিল। তারপরেই এই ঘটনা ঘটলো।

প্রসঙ্গত, গত ২ দিন ধরে ইতালি, পর্তুগাল, রোমানিয়া, ডেনমার্ক এবং পোল্যান্ডের একটি শহরের ইউক্রেন কনসুলেটে এই প্যাকেজগুলি পাঠানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ১৫টি দেশ ৩১টি প্যাকেজ পেয়েছে। এর মধ্যে অস্ট্রিয়া একটি, ভ্যাটিকান একটি, ডেনমার্ক একটি, স্পেন পাঁচটি, ইটালি চারটি, কাজাখস্তান একটি, নেদারল্যান্ডস একটি, পোল্যান্ড ছয়টি, পর্তুগাল দুইটি, রোমানিয়া দুইটি, অ্যামেরিকা একটি, হাঙ্গেরি দুইটি, ফ্রান্স একটি, ক্রোয়েশিয়া একটি, চেক রিপাবলিক দুটি এমন প্যাকেজ পেয়েছে। সম্পূর্ণ তথ্য ফেসবুকে শেয়ার করেছেন কুলেবা।

এএআর/ইউএইচ/