সুইস নিম্নকক্ষে বিল পাশ; সম্মতিহীন যেকোনো যৌন সম্পর্কই ধর্ষণ

|

সম্মতিহীন যেকোনো যৌন সম্পর্কই ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে বিল পাশ করেছে সুইজারল্যান্ডের পার্লামেন্ট। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সুইস পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষে এই প্রস্তাব পাস হয়। নতুন এই আইনে ধর্ষণের যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাতে বলা হয়, ‘না মানে না’ এবং ‘হ্যাঁ মানে হ্যাঁ’। অর্থাৎ সম্মতিহীন যেকোনো যৌন সম্পর্ককেই ধর্ষণ বলে বিবেচনা করা হবে। খবর জি নিউজের।

খবরে বলা হয়েছে, সুইজারল্যান্ডে বর্তমানে প্রচলিত আইন অনুযায়ী, কোনো মহিলাকে নিপীড়নের মধ্য দিয়ে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তৈরি করলে তা ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে এ ক্ষেত্রে ওই নারী অন্যদিকের মানুষটির জোর জবরদস্তিকে একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত ঠেকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে তবেই সেটিকে ধর্ষণ বলে বিবেচনা করা হয়। যদিও সুইজারল্যান্ডে অনেকেই মনে করেন, চলতি এই আইনে ধর্ষণের যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে, তা সংশোধন প্রয়োজন।

যৌন নিপীড়নের মাত্রা কেমন কিংবা যৌন নিপীড়নের শিকার ব্যক্তি নিপীড়নকারীকে কতটা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন, তা চুলচেরা বিবেচনা না করে সম্মতিহীন সব ধরনের যৌন সম্পর্ককেই ধর্ষণের আওতাভুক্ত করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তবে ধর্ষণ আইনে পরিবর্তন আনতে আরও কিছু ধাপ পেরোতে হবে বলে জানিয়েছে দেশটি।

কিন্তু সম্মতি আছে কী নেই, কীভাবে তা নির্ধারণ করা হবে? এ ব্যাপারে প্রচুর বিতর্ক আছে। কেউ কেউ মনে করেন, এক্ষেত্রে একেবারে স্পষ্ট ‘না মানে না’ নীতি মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যদি যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে সুস্পষ্ট করে আপত্তি জানান, তবে বুঝতে হবে তার সম্মতি নেই।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুর দিকে সুইস পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ কাউন্সিল অব স্টেটসে এ নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সোমবার নিম্ন কক্ষ ন্যাশনাল কাউন্সিলেও ভোটাভুটি হল। এদিন আরও সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে ‘হ্যাঁ মানে হ্যাঁ’। অর্থাৎ যৌন সম্পর্ক স্থাপনে সুস্পষ্ট সম্মতি থাকতে হবে। অন্যথায়, তা ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হবে। সোমবার ‘হ্যাঁ মানে হ্যাঁ’-এর পক্ষে ৯৯টি ভোট পড়েছে। ৮৮ জন এর বিরোধিতা করেছেন। ভোটদানে বিরত ছিলেন ৮৮ জন।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply