ইনজুরিতে পড়ে সারারাত কেঁদেছিলেন নেইমার

|

ছবি : সংগৃহীত

গ্রুপ পর্বের আশা আগেই শেষ হয়েছিল। নক আউট পর্বের ম্যাচে খেলা নিয়েও ছিল ঘোর সংশয়। কিছু গণমাধ্যম শিরোনাম করেছিল, বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে পারেন নেইমার। নিজেও খুব বেশি আশাবাদী ছিলেন না। যেদিন ইনজুরিতে পড়েন, সেদিন তিনি সারারাত কেঁদেছিলেন। কিন্তু সব শঙ্কা কাটিয়ে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষেই মাঠে ফিরেছেন।

নেইমারের ফেরার দিন দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৪-১ গোলের সহজ জয় পেয়েছে ব্রাজিল। তার মাঠে থাকাটা দলের জন্য যে বাড়তি সাহসের কারণ, তা বলাই বাহুল্য। অথচ, ক্যামেরুন ম্যাচের পর তাকে নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিলেন খোদ চিকিৎসকও।

এসব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নেইমার বলেন, আবারও মাঠে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। ইনজুরির রাতটা আমার জন্য ভীষণ কঠিন ছিল। ওই রাতটা আমি কেঁদেই কাটিয়েছিলাম।

ব্রাজিলিয়ান এই তারকা বলেন, ভালো একটি মৌসুম চলছে। আমিও খুব ভালো খেলছিলাম। কিন্তু হুট করে অ্যাঙ্কেলেটের ইনজুরি মেনে নেয়া আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। ওই সময় নেগেটিভ অনেক কিছুই মাথায় আসতো। বিশ্বকাপে ম্যাচে আবার ফিরতে পারবো কিনা তা নিয়েও ভয়ে ছিলাম।

পরিবার ও ভক্তদের কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেননি এই পিএসজির ফরওয়ার্ড। বলেন, ইনজুরির সময়ে পরিবার আর সতীর্থরা খুব সমর্থন দিয়েছে। ভক্তদের অনেকে অনুপ্রেরণা দিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। তারা আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন, যা আমাকে শক্তি যুগিয়েছে। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

প্রসঙ্গত, কাতার বিশ্বকাপে সার্বিয়ার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ইনজুরিতে পড়েন নেইমার। পরে তার ফেরা নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা। গ্রুপ পর্বের অপর দুই ম্যাচে খেলা হয়নি ব্রাজিলিয়ান তারকা ফরওয়ার্ডের। তবে, নক আউট পর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেই পেয়েছেন গোলের দেখা, হয়েছেন ম্যাচসেরা।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply