কাতারে সাম্বা প্রদর্শনীতে মুগ্ধ দুনিয়া, স্তব্ধ কোরিয়া

|

ছবি: সংগৃহীত

রাউন্ড অব সিক্সটিনে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। ফরোয়ার্ডদের দৃঢ়তায় ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় সেলেসাওরা। গোল পেয়েছেন ভিনিসিয়াস, নেইমার, রিচার্লিসন ও পাকুয়েতা আর দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে সান্ত্বনাসূচক একমাত্র গোলটি করেন পাইক। এশিয়ার শেষ দল হিসেবে কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলো দক্ষিণ কোরিয়া।

দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ নকআউট পর্বের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে তিতে শিষ্যরা। ম্যাচের শুরু থেকেই বল নিয়ন্ত্রণে রেখে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে সেলেসাওরা। এর ফলাফলও পেয়ে যায় ব্রাজিল, ম্যাচের ৭ মিনিটে রাফিনিয়ার দুর্দান্ত গোলমুখি ক্রস একটুর জন্য মিস করেন নেইমার ও পাকুয়েতা। তাদের মিস করা বলটিকেই জালে জড়ান ভিনিসিয়াস। এ সময় কোরিয়ান গোলকিপার ও চার জন ডিফেন্ডার ছিলেন তার সামনে। এটি ব্রাজিলের জার্সি গায়ে ভিনিসিয়াসের দ্বিতীয় ও বিশ্বকাপে তার প্রথম গোল।

ছবি: সংগৃহীত

এর কিছুক্ষণ পরেই ম্যাচের ১৩ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার ডি বক্সের ভেতরে ফাউলের শিকার হন রিচার্লিসন। এতে পেনাল্টি পায় সেলেসাওরা। আর সে পেনাল্টিতেই গোল ব্যবধান দ্বিগুন করেন ব্রাজিলের প্রাণভোমরা নেইমার। এটি বিশ্বকাপে নেইমারের ৭ম গোল। এটি ব্রাজিলের জার্সি গায়ে নেইমারের ৭৬তম গোল, আর মাত্র একটি গোল করলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন কিংবদন্তী পেলের ৭৭ গোলের রেকর্ড।

২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় ম্যাচের ১৬ তম মিনিটে হুয়াং চো’র জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন।

ছবি: সংগৃহীত

ম্যাচের ২৯ মিনিটে থিয়াগো সিলভার সাথে ওয়ান টু ওয়ান টাচে নান্দনিক গোল করে দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে নেন রিচার্লিসন। কাতার বিশ্বকাপে এটি তার ৩য় গোল। রিচার্লিসনের গোলের পর কোচ তিতের সাথে সাম্বা নাচেন ফুটবলাররা।

ছবি: সংগৃহীত

এর ঠিক ৭ মিনিট বাদেই স্কোর লাইন ৪-০ করেন মিডফিল্ডার পাকুয়েতা। ভিনিসিয়াসের ক্রস থেকে বল পেয়ে জালে জড়ান এ সেলেসাও মিডফিল্ডার।

প্রথমার্ধের পুরো ৪৫ মিনিট নিষ্প্রভ ছিলেন কোরিয়ার তারকা খেলোয়াড় হুয়াং মিন সন। এরপর আর কোনো গোল না হওয়ায় ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করতে হয় সেলেসাওদের।

ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয়ার্ধেও বল নিয়ন্ত্রণে রেখে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে ব্রাজিল। এর সুবাদে দক্ষিণ কোরিয়ার ডি-বক্সে বারবারই ঢুকে পড়ছিলেন রাফিনহা, রিচার্লিসনরা। তবে, আক্রমণ চালালেও গোলের দেখা পায়নি সেলেসাওরা। জবাবে, কাউন্টার অ্যাটাকে গোলের সুযোগ তৈরি করছিল কোরিয়ানরা। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে সনের জোরালো শট ফিরিয়ে দেন অ্যালিসন।

ম্যাচের ৬৩ মিনিটে আরেকবার ব্রাজিলকে বাঁচিয়ে দেন অ্যালিসন। মিন হুয়াংয়ের দুর্দান্ত শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে সে যাত্রায় দলকে রক্ষা করেন তিনি। তবে, ম্যাচের ৭৪ মিনিটে চোখ ধাঁধানো গোলে কোরিয়ার হয়ে ব্যবধান কমান সুয়াং হু পাইক। ডি বক্সের বাইরে থেকে পাইকের নেয়া বুলেট গতির শট অ্যালিসনকে পরাস্ত করে জড়িয়ে যায় জালে।

ছবি: সংগৃহীত

এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও গোলের দেখা পায়নি কোনোদলই। যার ফলে, ৪-১ গোলের বড় জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেলো তিতের শিষ্যরা। এমন দাপুটে জয়ে বিশ্বকাপের সম্ভাব্য দাবিদারদের সতর্ক দিয়ে রাখলো সেলেসাওরা।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply