জায়ান্ট-বধের কৌশলেই কি ক্রোয়াটদের মুখোমুখি হবে জাপান?

|

ছবি: সংগৃহীত

আল জানোব স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচ খেলতে নামবে এশিয়ান পরাশক্তি জাপান। দলটির কোচ হাজিমে মরিয়াসুকে হয়তো গ্রুব পর্বের কৌশল থেকে কিছুটা সরে আসতে হতে পারে এই ম্যাচে। গ্রুপ পর্বে দুই পাওয়ার হাউস স্পেন ও জার্মানিকে পরাজিত করে প্রশংসিতও হয়েছেন মরিয়াসু।

নিজেদের অর্ধে প্রতিপক্ষকে আমন্ত্রণ জানানো এবং বিরতির পর ফর্মেশন পরিবর্তনের সাথে গতি বৃদ্ধি করে গোলের খোঁজ করা- স্পেন ও জার্মানির সাথে দারুণভাবে কাজে লেগেছিল এই কৌশল। তবে এই কৌশলটাই কাজে লাগেনি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়া কোস্টারিকার সাথে।

হাজিমে মরিয়াসু। ছবি: সংগৃহীত

আজ যদি একই কৌশলে খেলে জাপান, তবে ক্রোয়েশিয়ার শক্তিশালী মিডফিল্ডের হয়তো ধৈর্য ধরতে খুব বেশি কষ্ট হবে না। স্পেন, জার্মানির মতো হতাশ না হয়ে জাপানের ডিফেন্সের দুর্বলতা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে মদ্রিচের নেতৃত্বে ক্রোয়াট মিডফিল্ড। স্পেন ও জার্মানির সাথে ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডের পার্থক্য়ের নাম লুকা মদ্রিচ। এই মিডফিল্ড জেনারেলের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ছিল না স্পেন ও জার্মানির মাঝমাঠে। আর তাই, গোল হজমের শঙ্কা থেকে যায় মরিয়াসুর দলের।

বিশ্বকাপে জাপানের চারটি গোলের তিনটিই করেছেন বেঞ্চের খেলোয়াড়রা। চতুর্থ গোলটাও এসেছে বদলি মিতোমার পাস থেকে। বেসবলের খেলোয়াড়দের সাথে নিজের দলের সামঞ্জস্য বিধানের পথে নিজস্ব পদ্ধতি অনুসরমণ করেছেন হাজিমে মরিয়াসু। দলের খেলোয়াড়দের দায়িত্ব ভাগ করেছেন তিনি স্টার্টার (যারা শুরুর একাদশে থাকবে), রিলিভার্স (বদলি নেমে ঘাটতির জায়গা পূরণ করবে) এবং ক্লোজার্স (কাজ সমাপ্ত করবে যারা)।

নিজের কৌশলে পরিবর্তন আনবেন কিনা মরিয়াসু, সেটি আর কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যাবে। তবে রক্ষণভাগে হয়তো একটি পরিবর্তন আনতে হবে জাপান কোচকে। স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচে কোউ ইতাকুরা দেখেছেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। তাছাড়া ইতাকুরার সম্ভাব্য বদলি হিসেবে যাদের সম্ভাবনা ছিল বেশি, সেই হিরোকি সাকাই এবং তাকেহিরো তোমিয়াসুর ফিটনেস নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।

আরও পড়ুন: মাঠে ফেরা রাঙানোর আগে চুলের রঙ পাল্টালেন নেইমার

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply