জিরুর রেকর্ড সৃষ্টিকারী গোলে ফ্রান্সের লিড

|

ছবি: সংগৃহীত

কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে পোল্যান্ডের বিপক্ষে অলিভিয়ের জিরুর রেকর্ড সৃষ্টিকারী গোলে লিড নিয়ে বিরতিতে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে এমবাপ্পের পাস থেকে গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন এই স্ট্রাইকার; সেই সাথে করেন জাতীয় দলের হয়ে ৫২ তম আন্তর্জাতিক গোল। আর এই গোলের মাধ্যমেই ফরাসি কিংবদন্তি থিয়েরি অরিকে টপকে এককভাবে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন জিরু।

নকআউট পর্বের আমেজ ছিল এই ম্যাচের শুরু থেকেই। আল থুমামা স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৭ মিনিটে দারুণ দক্ষতায় গতি বৃদ্ধি করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। গোলপোস্টের দূরের প্রান্তে ডেম্বেলের উদ্দেশে করা সেই ক্রস আয়ত্তে নিয়ে ডান পায়ে শট নেন ডেম্বেলে। তবে পোলিশ ডিফেন্ডার কর্নারের বিনিময়ে কোনোমতে রক্ষা করেন সে যাত্রা।

ম্যাচের ২০ মিনিটে লেভানদোভস্কির বাঁ পায়ের শট অল্পের জন্য পোস্ট মিস করে। সময়ের অন্যতম সেরা এই স্ট্রাইকার ম্যাচের ৩১ মিনিটে সুবিধাজনক জায়গায় ফ্রি কিক পেয়েছিলেন। তবে দলকে লিড এনে দিতে পারেননি লেভা।

২৮ মিনিটে পোল্যান্ডের রক্ষণের ভুলে বলের দখল পান গ্রিজমান। পোল্যান্ডের রক্ষণ ভেঙে তিনি বল বাড়ান ডানপ্রান্তে ডেম্বেলের উদ্দেশে। এই বার্সেলোনা উইঙ্গারের ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারলেও বলের দিক ঠিক রাখতে পারেননি জিরু। পরে অফসাইডের সিদ্ধান্তে হয়তো হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন থিয়েরি অরির সাথে তখনও যৌথভাবে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে থাকা এই ফরোয়ার্ড।

গতি ও দক্ষতা দিয়ে বেশ ক’বারই পোল্যান্ডের রক্ষণ দেয়ালে ফাটল সৃষ্টি করেছেন এমবাপ্পে। ৩৫ মিনিটে ম্যাটি ক্যাশকে ঘোল খাইয়ে ছাড়া এই ফরোয়ার্ডের বাম পায়ে নেয়া শট শেজনির ডান পাশ দিয়ে চলে যায় পোস্টের বাইরে।

পোল্যান্ডের আক্রমণকে রুখে দিতে ৩৭ মিনিটে ট্রিপল সেভের দরকার হয় ফ্রান্সের! বামপ্রান্ত দিয়ে করা আক্রমণ থেকে ডি বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে যান আগুয়ান পিতর জেলেনস্কি। কিন্তু তার জোরালো শট রুখে দেন হুগো লরিস। ফিরতি বলে আবার গোল অভিমুখে শট নেন জেলেনস্কি। এবার গোল লাইন থেকে ফ্রান্সকে রক্ষা করেন থিও হার্নান্দেজ। এবার ফিরতি বলে শট নেন জাকুব কামিনস্কি। সেটাও ফ্রান্সের রক্ষণ দুর্গে প্রতিহত হয়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই একাধিক গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেও এগিয়ে যেতে পারেনি পোল্যান্ড।

আর এর কিছুক্ষণ পরই ইতিহাস গড়েন অলিভিয়ের জিরু। কিলিয়ান এমবাপ্পের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়িয়ে জিরু হয়ে যান ফ্রান্সের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply