ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞে উত্তাল ফিলিস্তিন, ইহুদি সেনাদের জবাবদিহি করার দাবি ইইউ’র

|

দিনে-দুপুরে নাবলুসের রাস্তায় হত্যার ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল ফিলিস্তিন। প্রত্যক্ষদর্শী আর পরিবারের দাবি, এটি ঠান্ডা মাথার খুন। জাতিসংঘে মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে শান্তি প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়বে। ইসরায়েলি সেনাদের জবাবদিহির মুখোমুখি করার দাবি তুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। এরইমাঝে রোববার (৪ ডিসেম্বর) গাজা উপত্যকায় ছোড়া হচ্ছে মিসাইল। খবর আল জাজিরার।

হাওয়ারা শহরের রাস্তায় ফেলে পরপর ৪টি গুলি ছোড়া হয় এক ফিলিস্তিনিকে। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় ইসরায়েলি নিষ্পেষণের ভিডিও। জানানো হয়, হত্যাকাণ্ডের শিকার যুবক ২২ বছর বয়সী আম্মার আদিলি মুফলেহ। অভিযোগ ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করছিলেন সেনাদের। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এটা মিথ্যা-বানোয়াট অজুহাত।

নিহত আদিলি’র মা জানান গাসাব বলেন, আমার সন্তানের হাতে ছুরি বা পিস্তলের মতো কোনো অস্ত্রই ছিলো না। সে হামলার ব্যাপারে কিছু জানতো না। তার বিরুদ্ধে ছুরিকাঘাতের মিথ্যা অজুহাত দেয়া হচ্ছে। সে বাবার জন্য ওষুধ কিনতে বের হয়েছিলো। পথচারীরাই বলেছেন, ইহুদি সেনা প্রথম হামলা চালিয়েছে।

মাত্র একদিন আগেই ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণ গেছে কমপক্ষে ১০ ফিলিস্তিনির। যে তালিকায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দুই ভাই। নিয়মিত অভিযানের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন তারা।

জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ প্রতিনিধি টর ওয়েনসল্যান্ড বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যেকার সংঘাত বর্তমানে ফুটন্ত অবস্থায় রয়েছে। গেলো কয়েকমাসে দখলকৃত পশ্চিম তীর আর জেরুজালেমে বেড়েছে সহিংসতা। বেসামরিকদের ওপর হামলা-হত্যা কখনোই ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না। প্রত্যাশা করেন বর্বর নির্যাতন বন্ধে উদ্যোগ নিবে আন্তর্জাতিক মহল। নতুবা মধ্যপ্রাচ্যের দুই রাষ্ট্র ভিত্তিক শান্তি প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়বে।

চলতি বছর ইসরায়েলি হামলায় দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবারই এসব মৃত্যুর সঠিক তদন্ত এবং ইহুদি সামরিক বাহিনীকে জবাবদিহি করার দাবি তোলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর পরপরই গাজা উপত্যকা লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়ে ইহুদি সেনাবহর। তাদের দাবি হামাসের গোপন ঘাঁটিই ছিলো টার্গেট।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply