পেছন থেকে চিৎকার করলেও গাড়ি থামাননি চালক

|

ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকায় শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় রুবিনা আক্তার (৪৫) নামে এক নারী নিহত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আজাহার জাফর শাহের প্রাইভেটকারের নিচে চাপা পড়ে মারা যান তিনি।

নিহতের বোনজামাই মোটরসাইকেল চালক নুরুল আমিন বলেন, আমার আপার বাসা তেজগাঁও। সেখান থেকে আর এক বোনের বাসা হাজারীবাগ সেকশন এলাকায় যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হই। পরে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি প্রাইভেটকার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে আপাকে গাড়িতে টেনে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত নিয়ে আসে।

তিনি আরও বলেন, আমি পেছন থেকে তাকে ডাকতে ডাকতে এক কিলোমিটার চলে আসি কিন্তু সে গাড়ি থামায় না। পরে নীলক্ষেত মোড় এলাকায় আসলে আশপাশের লোকজন গতিরোধ করে চালককে গণধোলাই দেয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে আমার আপাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত জাফর শাহ অবসরপ্রাপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআর ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ঢাবি শিক্ষার্থী মীর সাফায়েত হোসেন বলেন, আমরা টিএসসি এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলাম। দেখলাম একটি প্রাইভেটকার একজন নারীকে টানতে টানতে নীলক্ষেত এলাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পরে আমরা কয়েকজন পেছন পেছনে দৌড়ে নীলক্ষেত মোড় এলাকা থেকে তাকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। আহত প্রাইভেটকার চালককেও ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে। জরুরি বিভাগের তার চিকিৎসা চলছে। আমরা জানতে পেরেছি আহত ওই প্রাইভেটকার চালক ঢাবির আইআর ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, আইআরের চাকরিচ্যুত শিক্ষক জাফর শাহ। ২০০৭/২০০৮ সালের দিকে নৈতিক স্খলনজনিত কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। নারী নিহতের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করেন তিনি।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার বাবুপুরা ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আরিফ হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে আসি এবং একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। মোটরসাইকেলে থাকা ওই নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এবং আহত জাফর শাহ নামে এক ব্যক্তি জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply