বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মকে বিদায় করে শেষ ষোলোয় ক্রোয়েশিয়া

|

ছবি: সংগৃহীত

জয়ের বিকল্প কোনো পথ নেই এমন সমীকরণে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হয় বেলজিয়াম। মুহুর্মুহু আক্রমণ করেও ক্রোয়েটদের জালে কোনো বল জড়াতে পারেনি ডি ব্রুইনা-লুকাকুরা। যার ফলে, ২৪ বছর পর প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিতে হলো রাশিয়া বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান অর্জন করা দল বেলজিয়ামকে। ড্র করেও ‘রাউন্ড অব সিক্সটিন’র টিকিট কাটলো লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া।

কাতারের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে গড়ায় প্রথমার্ধের খেলা। ম্যাচের ৯ সেকেন্ডেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় ক্রোয়েশিয়া। ইভান পেরিসিচের জোরালো শট গোলপোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যাওয়ায় বেঁচে যায় বেলজিয়াম।

ম্যাচের ১৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বেলজিয়াম ফরোয়ার্ড ক্যারাস্কোর শট ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়েট গোলরক্ষক। এর কিছুক্ষণ পর পেনাল্টি পায় ক্রোয়েশিয়া, বক্সের মধ্যে ইভান পেরিসিচকে ফাউল করে বসেন ক্যারাস্কো তবে, ভিএআরে অফসাইড হওয়ায় পেনাল্টি বাতিল ঘোষণা করেন রেফারি।

ম্যাচের ৩৪ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি মিস করেন বেলজিয়াম ফরোয়ার্ড মার্টেনস। ক্রোয়েশিয়ার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে ডি ব্রুইনা মুহূর্তের মধ্যে দৌড়ে ক্রোয়েশিয়ার বক্সের সামনে দুর্দান্ত এক থ্রু বল দেন মার্টেনসকে। তবে, একা গোলকিপারকে পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন মার্টেনস।

ম্যাচের পরবর্তী সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় গোলশূন্য অবস্থায় মাঠ ছাড়ে দুই দল।

বিরতির পর বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন বেলজিয়ামের রোমেলো লুকাকু। বিরতির পর আক্রমণ শানাতে ব্যস্ত থাকে বেলজিয়ামের খেলোয়াড়রা। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে লুকাকুর শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। এর মিনিট চারেক পর গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন লুকাকু।

ম্যাচের ৭০ মিনিটে মুনিয়ারের ক্রস থেকে গোলকিপারকে একা পেয়েও আবারও গোল করতে ব্যর্থ হন লুকাকু। ডজনখানেক আক্রমণের পরেও গোলের দেখা না পাওয়া বেলজিয়াম ম্যাচের ৮৫ মিনিটে মাঠে নামায় নিয়মিত অধিনায়ক এডিন হ্যাজার্ডে। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে একদম ফাঁকা গোলপোস্ট পেয়েও গোল করতে পারেননি লুকাকু। শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।

লুকাকুর মামুলি গোল মিসের খেসারত গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েই গুনতে হলো রেড ডেভিলদের। পুরো ম্যাচে ১৬টি শট নেয় বেলজিয়াম। যার মধ্যে ৫টি ছিল সহজ সুযোগ। রোমেলু লুকাকু একাই ৪টি বড় সুযোগ মিস করেছেন। সে কারণেই কিনা ম্যাচ শেষে মেজাজ হারিয়ে ডাগআউটে ভাঙচুরও করেছেন। ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সোনালি প্রজন্মের এমন করুণ বিদায়ের পর হতাশা চেপে রাখা কঠিনই বটে।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply