বিজয়ের পাঁচ দশক: অর্থনৈতিক সংকটেও আগামীর স্বপ্নে তরুণ প্রজন্ম

|

শাকিল হাসান:

সাধারণের মনে বিজয়ের আনন্দ মানে খেয়ে-পরে একটু ভালো থাকা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সেই ভালো থাকা নাই হয়ে গেছে মানুষের মন থেকে। যদিও বিজয়ের পাঁচ দশকে কৃষি, অবকাঠামো খাতে সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই সাফল্যের ফল সবাই সমানভাবে ভোগ করতে পারছে না।

ইউনুস মিয়া, কেরানীগঞ্জের এই চাষী এবার ছয় বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছেন। ফলন ভালো হলেও খরচা অনুপাতে দাম পাবেন কিনা তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ। বলছিলেন, সবকিছুর দাম বেশি। খরচ হয়েছে বেশি। ফলন ভালো হলেও লাভবাস হতে পারবো কিনা জানি না।

কেরানীগঞ্জের বাকতার চরের ধু ধু মাঠে পরম যত্নে বেড়ে উঠছে ইউনুস মিয়ার মতো অনেক চাষীর নতুন চারা। আর শীতের সবজির জন্য তৈরি হচ্ছে জমি। প্রান্তিক এই চাষীরা রাষ্ট্র কাঠামোর জটিলতা বোঝেন না। দিন শেষে চাওয়া শুধু শ্রমের প্রতিদান।

কৃষকরা বলছিলেন, আগে ১০০ টাকা আয় করতাম। তাতে সংসার চলতো। এখন ২০০ টাকা আয় করলেও সংসার চলে না।

ফসলের মাঠেও আছে নারীদের শ্রম। সংসারে একটু সচ্ছ্বলতার জন্য দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালী থেকে ওই এলাকায় এসেছেন অনেক নারী। ছমাস পর ফিরবেন ঘরে। তারা বলছিলেন, পুরুষও করে, আমরাও করি। সমান অধিকার। দেশ স্বাধীন হইছে, সবায় মিলে কাজ করবে; যেন ভালো-মন্দ খেতে পারে।

মধ্যবিত্ত অথবা নিম্নবিত্ত সবারই নাভিশ্বাস দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে। শ্রমজীবি মানুষের অবস্থা অনেকটাই শোচনীয়। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে আশা দেখাচ্ছে তরুণরা। বলছেন, সবাই যখন এগিয়ে আসবে, আমরা সুন্দর একটি বাংলাদেশ প্রত্যাশা করতে পারি।

তরুণদের হাত দিয়েই একাত্তরের শোষণহীন স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে বিজয়ের মাসে এমন প্রত্যাশা সকলের।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply