ফ্রন্টলাইনে কঠিন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনীয় সেনারা; নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করলো ন্যাটো-যুক্তরাষ্ট্র

|

ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধক্ষেত্রে কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছেন ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধরত ইউক্রেনীয় সেনারা- পশ্চিমা মিত্রদের এমন বার্তা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। রুশ হামলা মোকাবেলায় আবারও ন্যাটো মিত্রদের কাছে সহায়তা চান তিনি। পরিস্থিতি বিবেচনায় কিয়েভের জন্য নতুন সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। ভবিষ্যতেও সহায়তা অব্যাহতের আশ্বাস তাদের। খবর এপির।

খেরসনের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে অনড় অবস্থানে ইউক্রেনীয় সেনারা; আর পুনরায় দখল নিতে, মরিয়া রুশ বাহিনী। সব মিলিয়ে ফের উত্তপ্ত অঞ্চলটি। সম্প্রতি, ইউক্রেনীয় বাহিনীর তৎপরতায় ফ্রন্টলাইনে চাপে থাকা রুশ বাহিনী ফের জোরদার করেছে হামলার মাত্রা। দখলকৃত অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধার এবং নতুন এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পরিকল্পনা তাদের- এমনটাই জানিয়েছেন ভোলদেমির জেলেনস্কি।

জেলেনস্কি বলেন, ফ্রন্টলাইনের সেনারা কঠিন সময় পার করছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পরও নতুন করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে রুশ বাহিনী। দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খারকিভে হামলা জোরদার করেছে তারা। একই সাথে দখলে নেয়া এলাকার পরিসর বাড়াতে দক্ষিণাঞ্চলের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছে তারা।

এদিকে, রুশ হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ খাত। দেশটির জ্বালানি অবকাঠামো মেরামতে আরও একটি সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। ভবিষ্যতেও সবরকম সামরিক ও আর্থিক সাহায্য চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস জোটভুক্ত দেশগুলোর।

এ প্রসঙ্গে ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, ন্যাটো মিত্ররা ইউক্রেনকে সবরকম সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি আরও একটি নতুন সহায়তা প্যাকেজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সদস্য দেশগুলো। এটি রুশ হামলায় ভেঙে পড়া ইউক্রেনীয় অবকাঠামো, বিদ্যুৎ খাত চালু করার লক্ষ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

হামলা মোকাবেলায় সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনও। এ প্রসঙ্গে পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি প্যাট রাইডার বলেন, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও এ বিষয়টি মাথায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা ইউক্রেনে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি’ পাঠানোর পরিকল্পনা করছি- বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে পশ্চিমা মিত্রদের সহায়তা বৃদ্ধির জেরে আগ্রাসনের মাত্রা বাড়াতে পারে পুতিন প্রশাসন- এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরফলে যুদ্ধের পরিধি আরও দীর্ঘায়িত হবে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply