চালু হচ্ছে ঢাকা-কায়রো সরাসরি ফ্লাইট

|

মাহফুজ মিশু:

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ঢাকা-কায়রো রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু হচ্ছে। কায়রো বিমানবন্দরের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় এরইমধ্যে খতিয়ে দেখেছে সিভিল এভিয়েশন। শুরুতে ইজিপ্ট এয়ারের ফ্লাইট চালু হবে এবং পরে বাংলাদেশ বিমানও চালু করবে বলে জানিয়েছেন কায়রোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম।

জানা গেছে, ইউরোপসহ সারাবিশ্বের পর্যটকদের অন্যতম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য মিশর। দেশটির জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটনের খাতের অবদান অসামান্য। সেই অভিজ্ঞতা কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা ভাবছে বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে মিশরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে আমরা ট্যুরিজম সেই অর্থে এখনও উন্মুক্ত করতে পারিনি। মিশর যেটা পেরেছে। মিশরের প্রত্যেকটা শহরে বিদেশিরা আসে। ট্যুরিজম থেকে এদের মাসে এক বিলিয়ন ডলার আসে। আমরা কেন পিছিয়ে আছি, তা শেখার আছে এখান থেকে।

তিনি আরও বলেন, সিভিল এভিয়েশন থেকে এখানকার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করে গেছে। আশা করছি যেকোনো সময় ফ্লাইট চালু হয়ে যাবে। আপাতত মিশরের ‘ইজিপ্ট এয়ার’ চালু করবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিমানও ফ্লাইট শুরু করবে বলে আশা করছি। নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হয়েছে। ফলে মিশরের পাশাপাশি ইউরোপগামী বাংলাদেশিদের জন্য চালু হবে নতুন আরেকটি রুট। এছাড়া বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনায়ও মিশরের যে সফলতা তা ভালো উদাহরণ হতে পারে বাংলাদেশের জন্য।

উল্লেখ্য, হাজারও বছরের পুরনো সভ্যতা আর জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার লীলাভূমি মিশর। স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল এই মুসলিম দেশটি। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কায়রো সফর করেন। ঢাকা এসেছিলেন মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতও। তারপর থেকে যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব দু’টিই বেড়েছে। দেশটির আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়াশোনা করছে প্রায় পাঁচশ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। সেখানকার শ্রমবাজার আর ব্যবসা বাণিজ্যেও বাংলাদেশিদের উপস্থিতি বাড়ছে।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply