পুলিসিচের একমাত্র গোলে ইরানের বিরুদ্ধে জয় পেলো যুক্তরাষ্ট্র

|

ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের দেয়া একমাত্র গোলে ইরানের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমার্ধের ৩৮ মিনিটে পুলিসিচের গোলে এগিয়ে যায় ইয়াংকিরা। এরপর, আর কোনো গোল না হওয়ায় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে গ্রেগ বেরহল্টার শিষ্যরা। আর বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো ইরানের। এ জয়ের ফলের, গ্রুপ রানারআপ হয়ে রাউন্ড অব সিক্সটিনে জায়গা করে নিলো যুক্তরাষ্ট্র। এ রাউন্ডে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে নেদারল্যান্ডস।

ম্যাচের শুরু থেকেই খেলার নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময়, বেশ পরিকল্পিতভাবেই আক্রমণ চালাচ্ছিলেন পুলিসিচ-রবিনসনরা। কিন্তু, তাদের আক্রমণগুলো ব্যর্থ হচ্ছিলো শুধুমাত্র পারফেক্ট ফিনিশিংয়ের অভাবে।

ম্যাচের ২১ মিনিটে গোল দেয়ার দারুণ এক সুযোগ হারায় ইরান। একদম ফাঁকা জায়গায় সতীর্থ আজমাউনের উদ্দেশে বল বাড়িয়ে দেন ইরানের তারেমি; কিন্তু, ইয়াংকি ডিফেন্ডার টিম রিমের দক্ষতায় সে দফা রক্ষা পায় যুক্তরাষ্ট্র।

প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। গোলমুখে শটও বেশি ছিল তাদের। ৫১ শতাংশ বল দখলে রাখা যুক্তরাষ্ট্র পুরো ম্যাচে গোলে শট নিয়েছে মোট ১২টি, যারমধ্যে অন টার্গেট ছিল ৫টি শট। আর, ৪৯ শতাংশ বল দখলে ইরান গোলে শট নিয়েছে মাত্র চারটি, যার অন টার্গেট শট ছিল মাত্র একটি।

ম্যাচের ৩৮ মিনিটে নেয়া কর্নার থেকে পাওয়া বলে দেয়া ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের গোলে এগিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। আর, ম্যাচের ৫২ মিনিটে অফসাইডের কারণে বাতিল হয় টিম উইয়াহর গোল।

ম্যাচের ৫১ মিনিটে কর্নার পায় ইরান, তবে সেটিকে কাজে লাগাতে পারেনি তারা। একই অবস্থা ছিল যুক্তরাষ্ট্রেরও। আক্রমণের সুবাদে কর্নার পেলেও কাজে আসছিলো না সেগুলো।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই প্রথমার্ধের তুলনায় বেশ কিছুটা আক্রমণাত্মক ইরানকে দেখা যাচ্ছিলো মাঠে। প্রথমার্ধের নিষ্প্রভভাব কাটিয়ে বেশ ভালোভাবেই মাঠে নিজেদের উপস্থিতির জানান দিচ্ছিলো তারা। কিন্তু তাদের উপস্থিতির কোনো প্রভাব মাঠে ছিল না। একই অবস্থা ছিল যুক্তরাষ্ট্রেরও। ফলস্বরূপ, দ্বিতীয়ার্ধের ৭৭ মিনিট পর্যন্ত উভয় দলের অন টার্গেট শট ছিল মাত্র একটি। এ সময় ইরান দুবার চান্স ক্রিয়েট করলেও তাদের নেয়া শটগুলো গোলের আশেপাশেও ছিল না।

দ্বিতীয়ার্ধের বাকি সময়ে বেশকবার আক্রমণ ও গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলো ইরান। কিন্তু, আজ যেনো ভাগ্য সাথে ছিল না পারশিয়ানদের। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে পেনাল্টির আবেদন গৃহীত হলে অবশ্য এ ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন হতেই পারতো।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply