র‍্যাশফোর্ড ম্যাজিকে জয় পেলো ইংল্যান্ড

|

ওয়েলসের বিরুদ্ধে ৩-০ গোল ব্যবধানের জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। ফিল ফোডেন ও মার্কাস র‍্যাশফোর্ডের জোড়া গোলের সুবাদে এ জয় পায় ইংলিশরা। এরমাধ্যমে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শেষ ষোলোয় যাচ্ছে ইংল্যান্ড। পরের রাউন্ডে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে সেনেগাল। এদিকে, পরের রাউন্ডে কোয়ালিফাই করার জন্য অন্তত ৪ গোলে জিততে হতো ওয়েলসকে। অথচ প্রায় সেই ব্যবধানে আজ হেরেছেন অ্যারন রামজে-বেলরা।

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের এ ম্যাচের প্রথমার্ধকে চলতি বিশ্বকাপের সবচেয়ে নিস্তেজ লড়াইয়ের তকমা দেয়া যেতেই পারে। প্রথম দুই ম্যাচের প্রেরণাহীন পারফরমেন্সের পর মানসিকভাবেই কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন কিনা বেল-রামসেরা, সে প্রশ্নের উদয়ও স্বাভাবিক। আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে বি গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচের প্রথমার্ধে সেই নিষ্প্রভ ওয়েলসের রক্ষণও ভাঙতে পারেননি কেইন-রাশফোর্ডরা।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ওয়েলসের বিপক্ষে ড্র করলেই শেষ ষোলোর টিকেট নিশ্চিত হবে হ্যারি কেইনদের। আর, বেলদের সামনে জয়ের কোনো বিকল্প নেই- এমন সমীকরণ সামনে রেখে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই হয়ে ওঠে এলোমেলো পাস আর পরিকল্পনাহীন ফুটবলের প্রদর্শনী।

ম্যাচের ৩৭ মিনিটে মাঠের ডানপ্রান্ত দিয়ে ডেকলান রাইসের সাথে ১-২-১ করে ডি বক্সে ঢুকে ফিল ফোডেনকে বল বাড়ান জুড বেলিংহাম। কিন্তু ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে ফিল ফোডেনের নেয়া জোরালো ঐ শট চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। ডি বক্সে গিয়ে ওয়েলসের রক্ষণের কৃতিত্বে ও নিজেদের সমন্বয়হীনতার জেরে গোল বের করতে পারেনি ইংল্যান্ড।

অন্যদিকে, প্রথমার্ধের শেষে অতিরিক্ত সময়েরও অন্তিম মুহূর্তে জো অ্যালেনের শটে ইংলিশ গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ডকে শরীর নাড়াতে হয়েছে। এই আক্রমণ ছাড়া গোলপোস্টে শট নিতেও দেখা যায়নি ওয়েলসকে। আরও একবার নিষ্প্রভ ছিলেন গ্যারেথ বেল ও অ্যারন রামসে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মাঠে নিজেদের আধিপত্য ফিরে পাওয়ার চেষ্টা চালাতে থাকে ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৫০ মিনিটে মার্কাস র‍্যাশফোর্ডের নেয়া চোখ ধাঁধানো এক ফ্রি কিক থেকে লিড পায় ইংল্যান্ড। এর ঠিক পরের মিনিটেই গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফিল ফোডেন। ওয়েলস ডিফেন্ডারের ভুলে ডিবক্সের বিপদজনক এলাকায় বল পেলে বাম প্রান্তে ফিল ফোডেনের উদ্দেশে বল এগিয়ে দেন হ্যারি কেন। আর বল জালে জড়াতে একদমই কোনো ভুল করেননি ফোডেন।

দ্বিতীয়ার্ধে ৫ জন বদলি খেলোয়াড় মাঠে নামিয়েছে ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে হ্যারিকেন, ওয়াকার ও রাইসকে বদলি করেন কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। তাদের বদলে মাঠে নামেন ক্যালম উইলসন, ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড ও কেলভিন ফিলিপস। আর, ৬৪ মিনিটে লুক শ’র বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ট্রিপেয়ার। আর ৭৬ মিনিটে র‍্যাশফোর্ডের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন জ্যাক গ্রিলিশ।

ম্যাচের ৬৭ মিনিটে র‍্যাশফোর্ডের দ্বিতীয় গোলের সুবাদে আরও একদফা এগিয়ে যায় গ্যারেথ সাউথগেট শিষ্যরা। এটি ছিলো বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পক্ষে শততম গোল।

ম্যাচের বাকি সময়ে আক্রমণের ধার আর গতি দুটিই বাড়িয়ে দেয় ইংলিশরা। যদিও আর কোনো গোল আসেনি বাকি সময়ে। ফলে, ওয়েলসের বিরুদ্ধে ৩-০ গোল ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়লেন গ্রিলিশ-র‍্যাশফোর্ডরা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply