কুড়িগ্রামে সাংবাদিক-কর্মকর্তা পরিচয়ধারী তিন প্রতারক আটক

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, কুড়িগ্রাম:

সাংবাদিক এবং ঔষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় তিন প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের আরও দুই সহযোগী কৌশলে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের শিমুলতলা বাজারে ঘটে এ ঘটনা। আটককৃতরা হলেন, জেলার উলিপুর উপজেলার যমুনা ডালিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২৯), ওই উপজেলার মালতিবাড়ী মোল্লা পাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে মিঠু মিয়া (৩০) এবং নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ এলাকার মনির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল আজিজ মিয়া (৩৫)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার পাঁচ জনের একটি দল মোটরসাইকেল যোগে শিমুলতলা বাজারের মজিবর রহমানের ঔষুধের দোকান এবং আনিছুর রহমানের আয়শা ফার্মেসিতে গিয়ে নিজেদেরকে ঔষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সাংবাদিক পরিচয় দেন। এসময় তারা দোকানের ড্রাগ লাইসেন্স, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ আছে কিনা দেখতে চান। দোকানদার লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হলে তারা দুই দোকানের মালিকের কাছে বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। দাবীকৃত টাকা না দিলে মামলার হুমকি দেন আটককৃতরা।

এরপর একটি চায়ের দোকানে গিয়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের অজুহাতে পাঁচ হাজার টাকা আদায় করে এই চক্র। তবে তাদের অসংলগ্ন কথা-বার্তায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সন্দেহ হলে উপস্থিত লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এসময় কৌশলে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সবুজপাড়া গ্রামের গোলজার
হোসেনের ছেলে আব্দুস ছালাম (৩৬) ও উলিপুর ধরনী বাড়ী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মোস্তাফিজার রহমান বাবু (২৮) পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

স্থানীয়রা জানান, কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে একটি চক্র সাংবাদিক, ডিবি, সিআইডি, পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেটসহ ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে একাধিক ব্যবসায়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা আদায় করে আসছে। এই বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হওয়ার দাবি জানান তারা।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে আটক তিনজনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply