পিছিয়ে থাকা সার্বিয়ার ৩ গোল, ক্যামেরুনের সামনে বিদায়ের শঙ্কা

|

ছবি: সংগৃহীত

নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছে দুই দলই। আজ তাই জয়ের বিকল্প নেই ক্যামেরুন ও সার্বিয়ার সামনে। আর সেটাও দেখা যাচ্ছে দুয়ি দলের লড়াইয়ে। ক্যামেরুনের লিডকে দুই মিনিটের মধ্যেই অতীত বানিয়ে চালকের আসনে এখন সার্বিয়া। প্রথমার্ধেরে অতিরিক্ত সময়ে পাভলোভিচের গোলে সমতা ফেরানোর ২ মিনিট পর মিলিঙ্কোভিচ-সাভিচের গোলে ২-১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় সার্বিয়ানরা। এরপর ৫৩ মিনিটে মিত্রোভিচের গোলে ক্যামেরুনকে হতবাক করে ৩-১ গোলে লিড নিয়েছে দ্রাগান স্টয়কোভিচের শিষ্যরা।

দোহার আল জানোব স্টেডিয়ামে ম্যাচের দুই দলই নিজেদের খেলা গুছিয়ে নিতে সময় নেয়। আক্রমণভাগে সৃষ্টিশীলতার চেয়ে দুই দলের রক্ষণে শারীরিক শক্তির প্রকাশই দেখা গেছে বেশি। আর এর ধরনের ম্যাচে স্কোরের জন্য বেশি নির্ভর করা হয় সেটপিস থেকে।

সে রকম এক কর্নার থেকেই প্রথমে ডেডলক ভাঙে ক্যামেরুন। ম্যাচের ২৯ মিনিটে বামপ্রান্ত থেকে নেয়া সেই ইনসুইঙ্গার কর্নার পোস্টের সামনের প্রান্তে ক্যামেরুনের এক খেলোয়াড়ের মাথায় লেগে চলে যায় পোস্টের অপর প্রান্তে। ইয়ান চার্লস কাস্তেলেত্তোর জন্য সহজ ট্যাপ ইনে গোল করতে কোনো সমস্যাই হয়নি। দেশের জার্সিতে এটাই কাস্তেলেত্তোর প্রথম গোল। আর সেটাই এলো এমন বড়ে মঞ্চে।

মনে হচ্ছিল, ক্যামেরুনের অগ্রগামিতা দিয়েই শেষ হবে প্রথমার্ধ। তবে, সার্বিয়া পালটে দিলো সেই চিত্র। অতিরিক্ত সময়ের প্রথ্যম মিনিটে ডুসান তাদিচের ফ্রিকিকে ডি বক্সে অনেকটাই অরক্ষিত স্ট্রাহিনিয়া পাভলোভিচ মাথা ছুঁইয়ে সমতায় ফেরান সার্বিয়াকে।

ম্যাচে হুট করেই তখন সবই যেন চলতে শুরু করে সার্বিয়ার অনুকূলে! আর ছন্দ দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে সার্বিয়াকে ম্যাচে এগিয়ে নেন সের্গেই মিলিঙ্কোভিচ-সাভিচ। অতিরিক্ত সময়ের ৩ মিনিটে এই আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার বাম পায়ের শট নেন ডি বক্সের সামনে থেকে। আর পরাস্ত হন ক্যামেরুনের গোলরক্ষক এপাসি। দারুণভাবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজদের অনুকূলে নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল। তবে, খেলায় এখনও বাকি অনেক কিছুই। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মিত্রোভিচের গোলে ম্যাচের নাটকীয়তা শেষই হয়ে গেল কিনা, তা জানা যাবে ক্যামেরুনের প্রতিক্রিয়া থেকে। এই ম্যাচ হারলে বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে আফ্রিকার অদম্য সিংহদের।

আরও পড়ুন: মেসিকে হুমকি দিলেন মেক্সিকান বক্সার

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply