জাপানের হারে আশা বাড়লো জার্মানির

|

ছবি: সংগৃহীত

আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধ যেমনটা হতাশার ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে ঠিক পাল্টে গেলো ম্যাচের উত্তেজনা। ‘ই’ গ্রুপের খেলায় কোস্টারিকার বিপক্ষে জাপানের শুরুটা ছিল যাচ্ছে তাই। শুধু জাপান নয়, কোস্টারিকাও এদিন ছিল পুরোপুরি ব্যাকফুটে। তবে ম্যাচের ৮১ মিনিটে কেইশার ফুলারের গোলে জাপানকে হারিয়ে শেষ ষোলোর আশা বাঁচিয়ে রাখলো কোস্টারিকা।

আগের ম্যাচেই জার্মানিকে হারিয়ে আসা ব্লু সামুরাইদের নিয়ে অনেক আশা ছিল দর্শকদের। কিন্তু প্রথমার্ধে কোনো শটই তারা পোস্টে রাখতে পারেনি। প্রতিপক্ষ কোস্টারিকার খেলাও ছিল সাদামাটা। প্রথম ম্যাচে স্পেনের কাছে ৭ গোল হজম করা কেইলর নাভাসের দলের অবশ্য আসরে টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প ছিল না।

তবে দুই দলের প্রথম ৪৫ মিনিট ছিল এবারের আসরের সবচেয়ে বাজে প্রথমার্ধ, যেখানে ছিল না সঙ্গবদ্ধ আক্রমণ বা গোলের চেষ্টা। এমনকি পোস্টেই কোনো শট ছিল না কারো।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য মড়িয়া হয়ে ওঠে জাপান। তবে কোস্টারিকার রক্ষণে চিড় ধরাতে পারে নি কামাডা-আসানোরা। প্রথম ১০ মিনিটে ৩ বার কোস্টারিকার রক্ষণে ঢুকলেও নাভাসকে তেমন পরীক্ষার সামনে পড়তে হয়নি।

পাল্টা আক্রমণে কোস্টারিকা কয়েকদফায় ঢোকার চেষ্টা করে জাপানের রক্ষণে। তবে ম্যাচের ৮১ মিনিটে পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। এবারের আসরে প্রথমবারের মতো অন টার্গেটে শট নেয় কোস্টারিকা। কেইশার ফুলারের সেই এক শটেই প্রথম গোলের দেখা পায় কনকাকাফ অঞ্চলের প্রতিনিধিরা। একই সাথে জয় তুলে নিয়ে নক আউট পর্বের আশা বাঁচিয়ে রাখলো তারা।

২০১৪ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক আউট পর্বে ওঠে কোস্টারিকা। তাদের কারণে সেবার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল ইতালি আর ইংল্যান্ড। তবে এবার তাদের কারণে হাফ ছেড়ে বাঁচার সুযোগ পাচ্ছে জার্মানি। আর জাপান হারালো এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে এবারের আসরের নক আউট পর্ব নিশ্চিত করার সুযোগ।

আরও পড়ুন: স্পেন-জার্মানি মহারণ; কে এগিয়ে?


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply