চীনে করোনার আশঙ্কাজনক বিস্তার, ৩১ প্রদেশে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ

|

অস্বাভাবিক হারে করোনা সংক্রমণ হচ্ছে চীনে। সম্প্রতি দেশটির ৩১ প্রদেশে আশঙ্কাজনক হারে বিস্তার লাভ করছে ভাইরাসটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফের জিরো কোভিড নীতি মেনে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে শি জিনপিং সরকার। তবে টানা বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বেশকিছু এলাকায় বিক্ষোভ করছে চীনের সাধারণ মানুষ। খবর রয়টার্সের।

চীনের উহান থেকেই ভয়াবহ ভাইরাস করোনার সংক্রমণ। তবে কঠোর বিধিনিষেধের মাধ্যমে সেযাত্রা তারা ভালোভাবেই মোকাবেলা করে কোভিড-১৯।

প্রায় তিন বছর পর ফের ভীতি ছড়াচ্ছে চীনের করোনা পরিস্থিতি। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ৩২ হাজারের বেশি মানুষের কোভিড শনাক্ত হয় দেশটিতে। মহামারি পরিস্থিতির সেসময়েও ভাইরাসটির এতোটা বিস্তার দেখেনি চীন।

মহামারির শুরুর দিকে করোনার বিরুদ্ধে ‘জিরো কোভিড নীতি’ গ্রহণ করেছিলো চীন। তবে কড়াকড়ি শিথিলের পর বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ৩১ প্রদেশের মধ্যে বেইজিং, গুয়াংঝুসহ বিভিন্ন শহরে লকডাউনের পরও ঠেকানো যাচ্ছে না বিস্তার।

করোনার এই অস্বাভাবিকভাবে সংক্রমণে নড়েচড়ে বসেছে চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রতিরোধে ফের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে শি জিন পিং প্রশাসন। গণহারে নমুনা পরীক্ষা, ভ্যাকসিন, লকডাউন, কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, কোভিডের নতুন করে বিস্তার লাভের জেরে লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। আগের অভিজ্ঞতা থেকে বিজ্ঞানভিত্তিক নিয়ম মেনে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষের জীবনে প্রভাবের বিষয়টি মাথায় রেখেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এদিকে, টানা কড়াকড়ি লকডাউনের জেরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। মহামারি শুরুর পর এখনও পর্যন্ত চীনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখের বেশি মানুষ। মোট প্রাণহানি ৫ হাজারের ওপর।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply