যেসব কারণে ড্র হলো উরুগুয়ে-দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ

|

ছবি: সংগৃহীত

ড্র হয়েছে উরুগুয়ে-দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যাচ, এর মাধ্যমে কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ স্টেজের খেলায় চতুর্থ কোনো ম্যাচ ড্র হলো। কিন্তু, এ ড্রয়ের কারণ কী? ফুটবল বিশ্লেষকরা বলছেন, স্কোয়াডে অ্যাটাকারের অভাব না থাকলেও কোনো দলই সেভাবে কাজে লাগাতে পারেনি তাদের অ্যাটাকারদের। একের পর এক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি কোনো দলই। এদিন যেনো নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন সুয়ারেজ-কাভানিরা। অপরদিকে, একের পর হামলা চালিয়েও উরুগুয়ের রক্ষণ ভেদ করতে ব্যর্থ হয়েছেন সন-হুয়াং-সাংরা।

এদিন, শুরুতে এডিনসন কাভানিকে বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান উরুগুইয়ান কোচ দিয়েগো আলোনসো। প্রথমার্ধে বল পজিশন ধরে রাখলেও কোরিয়ার জালে বল জড়াতে পারেনি উরুগুয়ের ফুটবলাররা। গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধেও প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হয় দুই দলের ফরোয়ার্ডরা। উরুগুয়ে-দ. কোরিয়া দুই দলই মাঝ মাঠকে প্রাধান্য দিয়ে খেলে। কিন্তু প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ ভাঙ্গতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ড্র’য়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।

প্রথমার্ধে, ডারউইন নুনেজ বেশকবার গোলের সুযোগ তৈরি করলেও দক্ষিণ কোরিয়ার ডিফেন্সের কাছে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি সেন্ট্রাল স্ট্রাইকার হলেও ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলার কারণে তার জায়গা ছেড়ে দিতে হয় লুইস সুয়ারেজকে। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণেই আজকের ম্যাচে নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন তিনি। অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার দিয়েগো গডিন বেশ কয়েকবার খুব কাছে গেলেও জালে বল জড়াতে পারেননি। আর প্রথমার্ধের শেষাংশে তার হেড গোলপোস্ট ছুঁয়ে বেরিয়ে গেলে শেষ পর্যন্ত গোলবঞ্চিত থাকেন তিনিও। রিয়াল মাদ্রিদ স্টার ফেদে ভালভার্দের জোরালো শট গোলপোস্টে লেগে বেরিয়ে গেলে গোলের সাথে দূরত্ব অনেকটাই যেনো বেড়ে যায় উরুগুয়ের।

অপরদিকে, মাস্ক মুখে মাঠে ফিরেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার অধিনায়ক সন হিউং মিন। উরুগুয়ের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই চোট কাটিয়ে ফিরেছেন এই স্পার্স তারকা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মার্শেইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে বাম চোখে আঘাত পেয়েছিলেন সন। হিউং মিন সন শুরু থেকেই চেষ্টা করে গেছেন দলকে এগিয়ে নিতে। তার নেয়া একাধিক শট হয়েছে লক্ষ্যভ্রষ্ট। আর, দক্ষিণ কোরিয়দের মধ্যে গোলের সবচেয়ে কাছে গিয়েছিলেন হোয়াং উই জো; কিন্তু আজ তিনিও ব্যর্থ হন।

একের পর এক চেষ্টার পরও প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। আর দ্বিতীয়ার্ধ ছিল আরও ফ্ল্যাট। ম্যাচে ৫৬ শতাংশ বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল উরুগুয়ে। পুরো ম্যাচে গোল অভিমুখে তাদের শট ছিল ১০টি, যার মধ্যে অন টার্গেট ছিল মাত্র ১টি ; আর দক্ষিণ কোরিয়রা গোলে শট নিয়েছেন মোটে ৭টি, যার একটিও অন টার্গেট ছিল না।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply