বাগেরহাটে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী, চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা

|

বাগেরহাট প্রতিনিধি :

শীত আসতে না আসতেই বাগেরহাটে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। ফলে শয্যা ও জনবল কম থাকায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

জানা গেছে, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ভাইরাসজনিত জ্বর-সর্দি-নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে শিশুদের। ফলে চিকিৎসা পেতে সদর হাসপাতালে ছুটছেন অভিভাবকরা। সদর হাসপাতালে শিশুদের জন্য মাত্র ১২টি শয্যা বরাদ্দ থাকায় অধিকাংশদের আশ্রয় নিতে হচ্ছে বারান্দায়। বাড়তি এসব রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক-নার্সরা। এমন অবস্থায় রোগ প্রতিরোধে শিশুদের বাড়তি যত্ন নেয়ার পাশাপাশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. খান শিহান মাহমুদ বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশু রোগী বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৩০-৪০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া আউটডোরে সেবা পাচ্ছেন ১০০-১৫০ রোগী। এখন ঠান্ডা-কাশি, সর্দি-জ্বর, ব্রংকিওলাইটিস ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি। এই সিজনে ২ মাস বয়স থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। ফলে, শিশুদের এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে শ্বাসকষ্ট শুরুর আগেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নেয়ার তাগিদ দেন তিনি।

বাগেরহাট জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, চলতি নভেম্বরে অন্তত ৩-৪ হাজার রোগী ঠান্ডাজনিত কারণে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে গত কয়েকদিনে এই ধরনের রোগীর সংখ্যা একটু বেশি। সদর হাসপাতালে আসনের চেয়ে তিনগুণ বেশি রোগী দেখা যাচ্ছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শীতে শিশুদের প্রতি একটু বিশেষ যত্ন নিলে ঠান্ডাজনিত এই সমস্যা সেরে যাবে।

উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের ইনডোর ও আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন এক হাজারেরও বেশি রোগী।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply