রুশদের হৃদয় ভেঙে শেষ চারে ক্রোয়েশিয়া

|

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের সবচেয়ে পেছনের দল হিসেবে এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেয় স্বাগতিক রাশিয়া। কেই বা গোনায় ধরেছিল তাদের? কিন্তু, সৌদি আরবকে উড়িয়ে দিয়ে মস্কোতে যে অগ্রযাত্রা শুরু করেছিল রাশিয়া, তাতে রচিত হলো ‘স্পেন-বধ-কাব্য’। জমাট রক্ষণ ও গতিশীল ফুটবলে সবার মন জয় করে, শোচিতে কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ট্রাইব্রেকারে হেরে, শেষ হলো রুশদের বিশ্বকাপ অভিযাত্রা।

রোমাঞ্চ, শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনা- কোনো কিছুরই কমতি ছিল না এই ম্যাচে। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণের খেলায় এগিয়ে যায় রুশরা। ৩১ মিনিটে দূর থেকে আচমকা জোরালো শটে বল জালে জড়ান ডেনিশ চেরিশেভ। এই বিশ্বকাপে এটি তার চতুর্থ গোল।

এরপর মরিয়া আক্রমণ চালাতে থাকে ক্রোয়াটরা। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে মারিও মানজুকিচের দারুণ একটি পাস থেকে দুর্দান্ত হেডে সমতা ফেরান আন্দ্রেজ ক্রামারিচ।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও চেপে খেলতে থাকে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা রুশ গোলমুখে ব্যর্থ হয়ে যায়। পাল্টা আক্রমণে রাশিয়াও ক্রোয়াট রক্ষণের পরীক্ষা নিয়েছে বেশ কয়েকবার। শেষ পর্যন্ত খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ে খেলা যেন আরও জমে উঠলো। ক্রোয়েশিয়ার মুহুর্মুহু আক্রমণ ঠেকিয়ে রাশিয়াও কাউন্টার অ্যাটাকের ভীতি ছড়িয়ে ছিল বেশ কয়েকবার। ম্যাচের ১০০-তম মিনিটে দূর থেকে নেয়া ভিদার নির্বিষ হেডেই কিনা লিড নিলো ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচই যেন হাতের মুঠোয় নিয়ে নিলো দালিচের শিষ্যরা।

রুশদের মরিয়া আক্রমণে কাজ হচ্ছিল না শেষ পর্যন্ত। খেলার বাকি ৫ মিনিট। উত্তেজনার পারদ চরমে। বক্সের বাহির থেকে ফ্রি-কিক পায় রাশিয়া। সেটি থেকে দুর্দান্ত হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ফার্নান্দেজ। পুরো স্টেডিয়াম তখন উল্লাসে মত্ত।

অতিরিক্ত সময়েও স্কোরলাইন ২-২ থাকায় টাইব্রেকারে গড়ায় খেলা। খেলার মাঠে পায়ে টান খাওয়া গোলরক্ষক কোবাসিচের দৃঢ়তায় ৪-৩ গোলে জয় তুলে নিয়ে ২০ বছর পর সেমিফাইনালের টিকিট কাটলো ক্রোয়াটরা, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। আর স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় নীল হলো রাশিয়া। বিদায় রাশিয়া!

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply