চাঁদের সাথে সাদৃশ্য; ল্যানজারোটে মহাকাশ গবেষণার প্রস্ততি নিচ্ছেন নভোচারীরা

|

ল্যানজারোটে গবেষণারত নভোচারীরা।

মহাকাশ অভিযানের প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হয়ে উঠেছে স্পেনের ল্যানজারোট দ্বীপ। এ দ্বীপটির আবহাওয়া ও ভূতাত্ত্বিক চরিত্র অনেকটাই মেলে চাঁদ ও মঙ্গলের সাথে। তাই, মহাশূন্যে যাওয়ার আগে এ এলাকাটিতে সময় কাটিয়েই নিজেদের প্রস্তুত করে নিচ্ছেন তরুণ নভোচারীরা।

চাঁদ এবং মঙ্গলের ভূ-ভাগের মতোই গঠন ল্যানজারোট দ্বীপের, তাই নভোচারী এবং মহাকাশ বিজ্ঞানীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এটি। তরুণ প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ দিতেও ল্যানজারোটকেই বেছে নিয়েছে ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি। সেখানকার মাটি এবং পাথরের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা নিয়েও গবেষণা চালাচ্ছেন তারা।

বিশিষ্ট ভূতত্ত্ববিদ পেরেরে অ্যান্টোনি এ প্রসঙ্গে বলেন, এই কোর্সের প্রধান উদ্দেশ্যই হলো, মহাকাশে অবস্থানকালে যে বিষয়গুলোর মুখোমুখি হতে হবে সেগুলো শেখা। কেননা পৃথিবীতে অবস্থানকারী বিজ্ঞানীদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে তাদের। পার্থক্যগুলো সম্পর্কেও তাই জানা থাকা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, চাঁদে চার বিলিয়ন বছরের পুরানো পাথরও মিলবে। সেগুলো সম্পর্কে ভালো জানাশোনা থাকতে হবে।

মূলত, চাঁদ এবং মঙ্গল অভিযান সম্পর্কে তরুণ নভোচারীদের দক্ষ করে তুলতেই দেয়া হচ্ছে এ প্রশিক্ষণ। যা ভবিষ্যতে মহাকাশ সম্পর্কে আরও অনেক রহস্য উন্মোচনে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

নভোচারী লোরেডানা বেসোন বলেন, চাঁদ এবং মঙ্গলের ভূভাগের মতো এ স্থানটি। তরুণ বিজ্ঞানীরা এখানে গবেষণা চালাচ্ছেন। মাটি, পাথর পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন- যা তাদের ভবিষ্যতে নভোচারী হিসেবে তাদেরকে অনেক সহায়তা করবে। এটা তাদের জন্য অসাধারণ একটা সুযোগ।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি। ২০২৫ সাল নাগাদ প্রথম কোনো নারী নভোচারীকে চাঁদে পাঠাবে তারা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply