বাংলাদেশের ভোটগ্রহণ নিয়ে ‘বিশেষ ভাবনা’ নেই ইইউর, দেখতে চায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন

|

আহমেদ রেজা:

বাংলাদেশের সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে আগ্রহী ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সুশাসনের অগগ্রতিতেও একসঙ্গে কাজ করতে চায় ইউরোপের ২৭ দেশের এই জোট।

ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি জানিয়েছেন, এদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি সমালোচনামুক্ত থাকবে, এমনটাই প্রত্যাশা তাদের। এজন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতাও করতে সম্মত এই জোট। বাড়াতে চায় রাজনৈতিক সংযোগও। একইসঙ্গে সবুজায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, মানব সম্পদ উন্নয়ন ও সুশাসন নিয়ে কাজ করতে চায় এ জোট।

চার্লস হোয়াইটলি বলেন, আন্তর্জাতিক সহযোগী হিসেবে আগামী ২-৩ বছর আমরা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবো। একইসঙ্গে অন্যান্য খাতেও আমাদের সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। উন্নয়ন সহায়তা খাত থেকে আমরা সবুজায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, মানব সম্পদ উন্নয়ন ও সুশাসন নিয়ে কাজ করবো। এছাড়া বাংলাদেশের সাথে রাজনৈতিক সংযোগ বৃদ্ধি করতে আরও বৃহৎ পরিসরে কাজ করার ইচ্ছে আছে আমাদের। আগামী নভেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের প্রথম রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাতে রাজনীতিসহ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হবে।

চার্লস হোয়াইটলি

এ দেশে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া কীভাবে হবে, তা নিয়ে ‘বিশেষ ভাবনা’ নেই। তবে ইইউ চায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে বলেই মনে করেন চার্লস হোয়াইটলি।

ইইউ এর এ রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সকল বন্ধু রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগী সবাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। যা স্থিতিশীলতা ও পারস্পরিক। আস্থা বাড়ানো ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে নির্বাচন ঘিরে আমরা কি সংঘাত এড়াতে পারি না? রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে দলগুলো চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে আমরা শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই।

মানবাধিকার প্রশ্নে সুশীল সমাজ ও মুক্ত গণমাধ্যমের সমালোচনা অগ্রাহ্য না করে ইতিবাচকভাবে দেখতে নীতিনির্ধারকদের পরামর্শ দিলেন তিনি।

চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমরাও বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করতে চেয়েছি এবং করে যাচ্ছি। আমার কাছে শক্তিশালী গণতন্ত্রের ভিত মনে হয় মুক্ত গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ।

উল্লেখ্য, করোনা সংকটের পর বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ইউরোপে শিক্ষা সহায়তা বাড়াচ্ছে ইইউ। কাজ করছে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply