সাইবার হামলার ঝুঁকি এড়াতে ব্যাংকগুলোতে বাড়তি সতর্কতা

|

সাইবার হামলা নতুন না হলেও আইসিটি বিভাগের নির্দেশনায় ব্যাংকগুলো এ বিষয়ে বাড়তি সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। বিদেশিদের পাশাপাশি দেশি একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে এসব হামলা করছে বলে অভিযোগ করছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, আইএসপিএবি। তাই সাইবার নিরাপত্তায় আন্তঃরাষ্ট্রীয় যোগাযোগ গড়ে তুলছে আইসিটি বিভাগ। যা হ্যাকিং রোধে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন তারা।

ইন্টারনেট বা তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিতে নির্ভরতা যত বাড়ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার ঝুঁকি। বিশ্বজুড়ে নিয়মিত সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলা করছে প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা। এর বাইরে নয় বাংলাদেশও। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ এখন সাইবার হামলার কেন্দ্রে আছে, সম্প্রতি তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের এমন সতর্কাবার্তায় নড়েচড়ে বসেছেন প্রযুক্তি কর্মী এবং এর ব্যবহারকারীরা।

প্রযুক্তিবিদ এম এ হাকিম বলছেন, সবসময়ই হামলা চলতে থাকে। তাই সার্বক্ষণিক সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি। কিছু দেশ থেকে হামলাগুলো বেশি হয়, তবে যে কোনো জায়গা থেকেই হামলা হতে পারে।

ঝুঁকির শীর্ষে থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকগুলো বলছে, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা নতুন কিছু নয়। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ, এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলছেন, চিহ্নিত কয়েকটি দেশ থেকে বাংলাদেশের আর্থিক খাত লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটছে। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিজিডি ই-গভ সার্টের তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়েল অব সার্ভিসে সাইবার আক্রমণ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। ইন্টারনেট সেবা বিতরণের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠান আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হকের অভিমত, শুধু বিদেশ থেকে নয়, দেশের ভেতরেই একটি চক্র পরিকল্পিত সাইবার হামলা করছে ইন্টারনেট পরিষেবায়।

সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যান্ড্রয়েড ফোন যথেষ্ট সুরক্ষিত নয়। এসব ফোন থেকে ম্যালওয়ার ব্যাংকিং ও ব্যাক্তিগত তথ্য নিয়ে থাকে। আর সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে আন্তরাষ্ট্রীয় যোগাযোগ মজবুত করার পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply