যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’

|

ছবি: সংগৃহীত

২০২২ সালের এপ্রিল মাসে, শুধু ভারতেই নয় বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিলো কন্নড় সিনেমা ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। তবে এবার ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’কে পিছে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে রণবীর কাপুর অভিনীত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’।

মুক্তির পর ইয়াশ অভিনীত ‘কেজিএফ ২’ বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসা করেছে। এ সিনেমার প্রথম দিনের আয়কে টেক্কা দিতে তখন হিমশিম খাচ্ছিল বলিউডে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো। এমনকি ওপেনিং উইকএন্ডেও ভালো আয় করতে পারেনি বলিউডের কোনো সিনেমা। তবে এবার ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে আমেরিকার বক্স অফিসে।  

‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ বছরের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিনেমা। শুধুমাত্র ভারতেই নয় বিদেশেও ভাল ব্যবসা করেছে সিনেমাটি। বিদেশী বাজারে প্রায় ২৭ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। এই সিনেমা শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বক্স অফিস থেকে প্রায় ৭.৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। তবে সে রেকর্ড ভেঙে রণবীর-আলিয়ার ‘ব্রহ্মাস্ত্র’র আয় ৭.৮ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে তালিকার শীর্ষে রয়েছে রাম চরণ এবং জুনিয়র এনটিআর-এর ‘আরআরআর’ যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয় করেছে ১৪.৫ মিলিয়ন ডলার। ৭.৮ মিলিয়ন ডলার আয় করে দ্বিতীয় স্থানে আছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। ৭.৬ মিলিয়ন ডলার আয় করে তৃতীয় স্থানে আছে ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। ৪ মিলিয়ন ডলার করে চতুর্থ স্থানে আছে ‘কাশ্মীর ফাইলস’। ৩.৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে পঞ্চম স্থানে আছে ‘লাল সিং চাড্ডা’।

তবে মনে করা হচ্ছে, এ তালিকার পঞ্চম স্থান শীঘ্রই পরিবর্তন হতে চলেছে। কারণ, মণি রত্নমের তামিল সিনেমা ‘পন্নিয়িন সেলভান: ওয়ান’ বক্স অফিসে দারুণ টেক্কা দিচ্ছে বাকি সিনেমাগুলোকে। মাত্র তিন দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বক্স অফিসে এ সিনেমা আয় করেছে ৩.৩১ মিলিয়ন ডলার।

যেখানে লাল সিং চাড্ডা’ এখনও সেখানে একাধিক প্রেক্ষাগৃহে চলছে। কিন্তু এর আয়ের গতি ‘পন্নিয়িন সেলভান’-র সামনে এক-দুই দিনের বেশি হয়ত প্রেক্ষাগৃহে টিকতে পারবেনা বলে মনে করছেন সিনে বিশ্লেষকরা।

অয়ন মুখার্জীর ৪০০ কোটি রুপি বাজেটের এই সিনেমা ভারতে এখন পর্যন্ত আয় করেছে ২৪৮.৯৭ কোটি রুপি। আর বিশ্বব্যাপী এই সিনেমা আয় করেছে ৩৯১.৯৮ কোটি রুপি।

বলিউড সিনেমা ভারতে খুব একটা ভালো ব্যবসা না করলে বিশ্বব্যাপী কিন্তু বলিউড সিনেমা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এখনও। হয়ত এই দাপটেই আবারো আগের মতো বলিউডের সুদিন ফিরে আসবে ভারতীয় সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে, এমনটাই প্রত্যাশা এখন সিনে বিশ্লেষকদের।  

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply