আরও কিছু এলাকা দখলমুক্ত, রুশ প্রতিরক্ষা লাইন পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে ইউক্রেন বাহিনী

|

মাইরো-লিউ-বিভকাসহ খেরসনের একাধিক অঞ্চলে উড়ছে ইউক্রেনের পতাকা। ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের দক্ষিণে আরও নতুন নতুন এলাকা দখলমুক্ত করার দাবি করছে কিয়েভ। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা লাইন ভেদ করে তারা এগিয়ে চলেছে নিপ্রো নদীর তীরে। এখন তাদের লক্ষ্য রুশ সেনাদের রসদ সরবরাহ লাইনের দখল নেয়া। বেশ কয়েকটি গ্রামের দখল হাতছাড়া হওয়ার কথা স্বীকার করেছে ক্রেমলিনও। তবে অন্যান্য প্রতিরক্ষা লাইনে শক্ত অবস্থানের দাবি রুশ প্রতিরক্ষা দফতরের। স্লোভিয়ানস্কসহ বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে টানা গোলাবর্ষণ। তিনদিনে নয়শ ইউক্রেনীয় সেনার প্রাণহানি ও ৬০টি সাজোয়া যান ধ্বংসের দাবি মস্কোর।

এখন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা লাইন ভেদ করে আরও ভেতরে প্রবেশের লক্ষ্য নিয়ে নিপ্রো নদীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইউক্রেনের ট্যাংক। প্রায় ২৫ হাজার রুশ সেনার ঘাঁটি এখন নদীটির পশ্চিম তীরে। তাদের প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহের পথ অবরুদ্ধ করার লক্ষ্য কিয়েভ সেনাদের। এরই মধ্যে তারা ধ্বংস করেছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনের যোদ্ধাদের প্রতিরোধ ও পাল্টা আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। ফ্রন্টলাইনে তুমুল লড়াই চলছে। আমরা নতুন নতুন এলাকা মুক্ত করেছি। শত্রুপক্ষে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। এ পর্যন্ত খারকিভের সাড়ে চারশর বেশি এলাকা দখলমুক্ত হয়েছে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে সেখানকার মানুষ।

রাশিয়াও স্বীকার করেছে খেরসনের কয়েক মাইল এলাকার আধিপত্য নিয়েছে ইউক্রেন। তবে একই সাথে অন্যান্য ফ্রন্টলাইনে পুতিন বাহিনীর সাফল্যের খবরও জানায় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকোভ বলেন, আলেক্সান্দ্রিভকা ও জোলোতা বলকার দিকে প্রবেশ করেছে শত্রুপক্ষের ট্যাংক ইউনিট। তবে রুশ বাহিনী প্রতিরক্ষা লাইনে প্রস্তুত আছে। স্লোভিয়ানস্কে শত্রুপক্ষের ১৩০ সেনা নিহত হয়েছে। ২৩টি সাজোয়া যান ধ্বংস হয়েছে। কুপিয়ানস্কেও ইউক্রেনের ১৪০ সেনা নিহত হয়েছে।

দুদিন আগেই লিমানে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেন। অঞ্চলটি পুনরুদ্ধারকে দেখা হচ্ছে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কিয়েভের সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply