বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের উদ্বেগ

|

যুক্তরাজ্যের সংকটের সময়ে পাশে থেকেছে ঢাকা। তাই, দেশটির নতুন রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারে থাকবে বাংলাদেশের নাম। যমুনা টেলিভিশনের সাথে সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন। তবে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন রবার্ট ডিকসন।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর বাংলাদেশে ৩ দিনের শোক, হাইকমিশনের স্বাক্ষর কর্মসূচিতে দলমত ভেদে সকলের অংশগ্রহণ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ ইতিবাচক মনে করে ব্রিটেন। হাইকমিশনার বলছেন, দেশটির নতুন রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেন, রানির মৃত্যুর সময়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত শোকের ছিল। সে সময় ৩ দিনের শোক ঘোষণায় আমরা বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছে। এছাড়া রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকায় আমরা কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের সাথে আমাদের চলমান বৈদেশিক নীতি অব্যাহত থাকবে। আইপিএস নিয়ে ইংল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্য নির্ধারণ করছেন। নিশ্চয়ই সেখানে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে।

এক বছরের কিছু সময় পর বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচন ঘিরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ব্রিটেন। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগমুক্ত নয় তারা, জানিয়েছেন রবার্ট ডিকসন। বাংলাদেশে নিযুক্ত এই ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা রাস্তাঘাটে রাজনৈতিক সহিংসতা ঘটেছে। বিষয়টি উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নয়। যেকোনো সমাজের জন্যই রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হতে হবে, যে সংস্কৃতি একসময় বাংলাদেশে ছিল। আমরা সংঘর্ষ নয়, শান্তি দেখতে চাই।

এরইমধ্য়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে মতবিনিময় করেছেন ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনার। অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য দলগুলোর সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন রবার্ট ডিকসন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সাথে আমার বৈঠক হয়েছে। কীভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে তা ছিল আলোচনায়। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে ব্রিটেনের প্রত্যাশা নিয়ে এদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথেও বৈঠক হয়েছে। আশা করি, সবকিছু ভালোভাবেই সম্পন্ন হবে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে ওঠে আসা জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য ও জ্বালানি এবং রোহিঙ্গা সংকটে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একত্রে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply