অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ, চালক গ্রেফতার

|

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোহ্রী ধর্ষণের অভিযোগে জীবন মিয়া (৩২) নামে এক অ্যাম্বুলেন্স চালককে গ্রেফতার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল পুলিশ। কিশোরীটিকে অ্যাম্বুলেন্স করে উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া জীবন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার শাহবুদ্দিনের ছেলে। রোববার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম আকন্দ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধারের পরই ধারণা করা হচ্ছিল তাকে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে। পরে সে জানায় অ্যাম্বুলেন্স চালক তাকে দুই বার ধর্ষণ করেছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরাও জানান কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। দুপুরে কিশোরীর নানী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স চালককে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আলামত হিসেবে অ্যাম্বুলেন্সটি জব্দ করা হয়েছে।

জানা যায়, কিশোরীটি (১৪) তার নানীর সাথে জেলার সরাইল উপজেলার দেওড়া গ্রামে বসবাস করে। বর্তমানে নানী-নাতনী জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডায় পৃথক বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন।

শনিবার (১ অক্টোবর) ভোরে পশ্চিম মেড্ডায় কিশোরটি বাসা থেকে বের হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স চালক জীবন জোরপূর্বক তাকে উঠিয়ে নেয়। সেখান থেকে পৌর এলাকার পশ্চিম পাইকপাড়ায় বোডিং মাঠ এলাকায় এনে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর পরই ওই এলাকায় অন্য একটি অভিযানে বের হয় সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক ইব্রাহিম আকন্দ। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে পেয়ে বিষয়টি জানালে, তাদের সহায়তায় জীবনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে উদ্ধার করা হয় কিশোরীকে।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম আকন্দ জানান, আমি একটি চুরির মামলার বিষয়ে ওই এলাকায় গিয়েছিলাম। এসময় ১৩/১৪ বছরের তিন কিশোর আমাকে জানান, একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে একটি মেয়েকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে গেছে। পরে তাদের সহযোগিতায় প্রথমে অ্যাম্বুলেন্স চালককে আটক করি, পরে উদ্ধার করা হয় কিশোরীকে।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply