স্বর্ণ চুরি করে কক্সবাজার ঘোরা ছিল তাদের নেশা

|

স্বর্ণ চুরি করে কক্সবাজার ঘোরা ছিল তাদের নেশা। এমন এক স্বর্ণ চোর চক্রের সন্ধান পেয়েছে ডিবি পুলিশ।কক্সবাজারে প্রমোদ ভ্রমণে থেকে ফিরে ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয় ৬ বন্ধু।

গ্রেফতারকৃতদের চারজন রাজধানীর চাদনী চক মার্কেটের সততা জুয়েলার্সের কর্মচারী। যাদের নেতৃত্বে আছে ফরহাদ নামের এক সহকর্মী। মালিক বয়স্ক হওয়ায় দোকান খোলা বা বন্ধের কাজটি করে সে। মালিকের বিশ্বাসের সুযোগে নকল চাবি বানিয়ে দোকান থেকেই স্বর্ণ চুরি করে অন্তত চারবার। সবশেষ গত ১৯ সেপ্টেম্বর, তার নেতৃত্বেই হানা দেয়া হয় সততা জুয়েলার্সে।

ভুক্তভোগী স্বপন চৌধুরী বলেন, এক বছর আগে থেকে একটা দুইটা করে কমতে থাকে।। পরে একসাথে ১৮-১৯ ভরি স্বর্ণ নেয় তারা।

নিউমার্কেট থানায় মামলার পর তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় চোরচক্রের ৬জনকে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, চুরির টাকায় কেনাকাটা করে বেড়াতে যেতো তারা।

পুলিশ বলছে, চক্রটি একমাসেই ১৮ ভরি স্বর্ণের গহনা চুরি করেছে। চুরির পর চোরাই স্বর্ণ বিক্রির হাট হিসেবে পরিচিত তাতীবাজার ও আজিমপুর বিজিবি গেট সংলগ্ন দোকানে বিক্রি করতো।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, চোরাই জিনিস কেনার কারণে চুরির প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁতিবাজারে কিছু সিন্ডিকেট রয়েছে তারা ঢাকা শহরের যেখানেই স্বর্ণ চুরি হয় তারা সেই স্বর্ণ কিনে নেয়।

চোরাই স্বর্ণ কেনাবেচার সিন্ডিকেট না ভাঙলে চুরির ঘটনা রোধ করা কঠিন। আর সেজন্য সেই সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার কাজে তৎপর রয়েছে পুলিশ।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply