নাইজেরিয়ার জয়ে খুশি আর্জেন্টাইনরাও!

|

এ ম্যাচের দিকে তাকিয়ে ছিলেন কোটি আর্জেন্টাইন সমর্থক। আইসল্যান্ড জিতলেই কপাল পুড়তো প্রিয় দল আর্জেন্টিনার। রাশিয়া থেকে বিদায় নিশ্চিত হতো দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। সেই সঙ্গে বিদায় ঘণ্টা বেজে যেতো নাইজেরিয়ারও।

কোনোটাই হতে দেননি আইমেদ মূসা নামের সুপার ফরোয়ার্ড। জোড়া গোল করে সবার আশা বাঁচিয়ে রাখলেন তিনি। তার সৌজন্যে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার স্বপ্ন টিকে রইল সুপার ঈগল ও আর্জেন্টাইনদের।

শুক্রবার ভলগোগ্রাদ এরেনায় আইসল্যান্ডের মুখোমুখি হয় নাইজেরিয়া। আক্রমণাত্মক শুরু করে দলটি। নিজেদের দখলে বল রেখে একের পর এক আক্রমণে ওঠেন তারা। তবে তাদের আক্রমণগুলো নস্যাৎ করে দেন অ্যাইসল্যান্ডিক রক্ষণসেনারা। ফলে গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যেতে হয় নাইজেরিয়াকে।

বিরতি থেকে ফিরে আর সুপার ঈগলদের রুখতে পারেনি আইসল্যান্ড।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল হজম করে দলটি। ৪৯ মিনিটে নিশানাভেদ করেন সুপার ফরোয়ার্ড আহমেদ মুসা। সেই গোলে অ্যাসিস্ট করেন মাঝমাঠের কাণ্ডারি ভিক্টর মোজেস।

এগিয়ে গিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে নাইজেরিয়া।বিশেষ করে মুসা।একের পর আক্রমণ শাণান তিনি। ফলে এগিয়ে যেতেও সময় লাগেনি আফ্রিকার দেশটির।৭৫ মিনিটে ঠিকানায় বল পাঠিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গেল বিশ্বকাপ মাতানো এ ফরোয়ার্ড।

পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের গতি বাড়ায় আইসল্যান্ড।মুহুমুহু আক্রমণ দাগান তারা। ফল পেয়ে যাচ্ছিলেন।৮০ মিনিটে আলফ্রেড ফিনবোগাসনকে ডি বক্সে ফাউল করেন নাইজেরিয়ার তাইরনি এবিউহি।ভিএআরের সহায়তায় পেনাল্টি পায় আইসল্যান্ড। তবে তা থেকে গোল আদায় করতে পারেননি জিলফি সিগুর্ডসন।

শেষদিকে তুমুল আক্রমণ হানলেও আর গোল পায়নি আইসল্যান্ড। ফলে ২-০ গোলে হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন হেইমির হালগ্রিমসন শিষ্যরা। আর আনন্দ উল্লাস করতে করতে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন মুসারা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply