জাপানের সাথে সম্পর্ক আরও উন্নত করতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

|

জাপানের সাথে বাংলাদেশের বর্তমান সুসম্পর্ককে আরও উচ্চতায় উন্নীত করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেশ‌টির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসার সাথে দ্বিপা‌ক্ষিক বৈঠকে এ আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন ড. মোমেন।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাপানের সদ্যপ্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদানের জন্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জাপানে অবস্থান করছেন। সোমবার বিকেলে টোকিওতে পৌঁছানোর পরপরই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের শুরুতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের জন্য বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন এবং জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া তিনি ঢাকাস্থ জাপানের দূতাবাসে গিয়ে শোক বইয়ে সই করার জন্য ও রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদানের জন্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

জাপানকে বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান এবং দুদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আরও জোর দেন। জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর আকস্মিক মৃত্যুতে বাংলাদেশ অত্যন্ত মর্মাহত বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন উল্লেখ করেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের কঠোর অবস্থানের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা, সমস্যা এবং এর দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানের বিষয়ে জাপানের সহযোগিতা চান। জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি বাংলাদেশকে অব্যাহত সহায়তা দেয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য সেলিমা আহমেদ, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply