যাত্রী নেই, ভাঙারি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে লঞ্চ

|

আগের চেয়ে যাত্রী কমেছে লঞ্চে। আবার সময় বাঁচাতেও অনেকে নৌপথের বদলে বেছে নেন সড়ক। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর দক্ষিণের লঞ্চে চাপ কমেছে আরও। এমন পরিস্থিতিতে মালিকরা নানা বিকল্প চিন্তাও করছেন। কেউ কেউ আবার লঞ্চ বন্ধ করে লোহা ভাঙারি হিসেবে বিক্রিও করে দিচ্ছেন।

ঢাকা-বরিশাল রুটের এক সময়ের জনপ্রিয় লঞ্চ ছিলো কীর্ত্তনখোলা-১। মালিকানা বদলের পর তার নাম দেয়া হয় কামাল-১। দীর্ঘদিন চলাচলের পর লঞ্চটির ঠাঁই হয়েছে পোস্তগোলার শ্মশানঘাটে। সেখানে গিয়ে দেখা গেলো, লোহার দামে বিক্রি হওয়ার পর স্টিলের প্লেট ও শিট কেটে আলাদা করছেন শ্রমিকরা। ভাঙারি হিসেবে বিক্রি হওয়া এ লঞ্চের লোহার অংশগুলো চলে যাবে বিভিন্ন স্টিল মিলে। ইঞ্জিনসহ আরও কিছু অংশ মেরামত করে ব্যবহৃত হবে নতুন কোনো জাহাজ বা লঞ্চে।

শত বছরের পুরনো এ ব্যবসার তবে এখনকার পরিস্থিতি কী? কেন লঞ্চ ভাঙারি হিসেবে বিক্রি হলো? ঢাকা নদী বন্দর স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক মামুন অর রশিদ এমন প্রশ্নের জবাবে জানালেন, এখনই যদি ভাঙারি হিসেবে বিক্রি না করা হয়, ভবিষ্যতে দাম আরও কমে যাবে। লঞ্চ মালিক সমিতির এই নেতা বলছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই যাত্রী সংকটে পড়েছেন তারা। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি সে কফিনে ঠুকেছে শেষ পেরেক।

মামুন অর রশিদ বললেন, কিছু কিছু লঞ্চ ভাঙারি হবেই। ক্রমাগত যাত্রীসংখ্যা হ্রাস এবং শ্রমিকদের বেতন দেয়ার চাপ অনেকেই সামলাতে পারছেন না। এমন অবস্থায় ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পকে বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি সহযোগিতার আহ্বান জানালেন তিনি।

সময় কিছুটা বেশি লাগলেও দক্ষিণাঞ্চলের অনেক মানুষের প্রিয় বাহন লঞ্চ। তবে সময়ের সাথে আধুনিকায়ন না হলে চাহিদা এবং উপযোগ কমতে থাকবে। যাত্রীরা বলছেন, আধুনিকায়ন সম্ভব হলেই বহু বছরের পুরনো আরামের বাহন লঞ্চ টিকে থাকবে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply