ওষুধ, ওড়না এমনকি সাথে থাকা আয়নাটিও অক্ষত পাওয়া যায় রহিমার কাছে

|

২৭ দিন অন্তর্ধান থেকে উদ্ধারের সাড়ে ১০ ঘণ্টা পর মা রহিমা বেগমের সাথে দেখা করেছে পরিবারের সদস্যরা। তবে মায়ের স্বেচ্ছায় অন্তর্ধানের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা। এমনকি কথা বলেননি রহিমা বেগমও। পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনের কথা জানিয়েছেন রহিমা। কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে আদালতে তোলা হবে।

পিবিআইর খুলনা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, রহিমা বেগমকে উদ্ধার করার সময় তার কাছে কাপড়, এমনকি তার তার ব্যবহৃত প্রসাধনী পাওয়া গেছে। ওষুধ, ওড়না এমনকি সাথে থাকা আয়নাটিও পাওয়া যায় তার কাছে। অপহরণ হলে এসব সামগ্রী কীভাবে তার কাছে আসলো। তাছাড়া তদন্তের সময় ঘটনাস্থল থেকে অপহরণের কোনো আলামত মেলেনি বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভিকটিম সার্পোট সেন্টার থেকে রহিমা বেগমকে পিবিআই কার্যালয়ে আনা হয়। দুপুর দেড়টায় তার সাথে দেখা করতে আসেন সন্তানরা।

এর আগে ময়মনসিংহের ফুলপুরে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত একটি মরদেহের ছবি দেখে রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান দাবি করেছিলেন, এটা তার মায়ের। তিনি পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে বলেন, মরদেহের হাত-পা, মুখমণ্ডল ও উদ্ধার হওয়া কাপড় দেখে নিশ্চিত করেন এটাই তার মা। এ নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব ছিলেন তিনি। এমনকি তিনি ডিএনএ প্রোফাইল করতেও রাজি হন। তবে মাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের পর সুর পাল্টে যায় মরিময় বেগমসহ তার বোনদের। এখন তারা বলছেন, মাকে জীবিত খুঁজে পেয়ে তারা খুশি। এর বেশি আর কিছুই বলতে রাজি নন তারা।

মরিয়মকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কেন আত্মবিশ্বাসের সাথে একটি লাশকে নিজের মা বলে শনাক্ত করেছেন, এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি মরিয়ম এবং তার অন্যান্য সহোদররা। তারা বলছেন, আমার মাকে জীবিত উদ্ধার করায় আপনারা কি খুশি না? ছয়জন এতিম সন্তান তাদের মাকে অক্ষত খুঁজে পেয়েছে, আপানাদের তো খুশি হওয়ার কথা।

উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগমকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আপনি কি লুকিয়ে ছিলেন, নাকি আপনার মেয়েরা পাঠিয়ে ছিল? তবে এ প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি তিনি। পুরো সময়টা তিনি নিশ্চুপ ছিলেন।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply