ঊর্ধ্বমুখী রড ও সিমেন্টের বাজার

|

যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণেই দরকার হয় রড এবং সিমেন্ট। কিন্তু নানা কারণে এই দুই নির্মাণ উপকরণের দাম আকাশচুম্বী। ৩ মাসের ব্যবধানে টনপ্রতি রডের দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা। অন্যদিকে বস্তাপ্রতি সিমেন্টের দামও বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচামাল আমদানিনির্ভর হওয়ায় এ মূল্যবৃদ্ধি বলে মনে করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যক্তিপর্যায়ে এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো সংকটে পড়েছে। রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, রিহ্যাব বলছে, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে আবাসন খাতে তৈরি হয়েছে স্থবিরতা।

বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বেশি হওয়ায় স্থানীয় বাজারেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রড এবং সিমেন্ট। ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তৈরি হচ্ছে অনিশ্চয়তা। সরকারি সংস্থা, টিসিবির বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বছরের ব্যবধানে রডের দাম বেড়েছে প্রায় ২০ ভাগ। মানভেদে এক টন রডের বিক্রি মূল্য ৯৩ থেকে ৯৫ হাজার টাকা। যা তিন মাস আগেও বিক্রি হয়, ৮৬ থেকে ৮৭ হাজার টাকায়। বাড়তির দিকে সিমেন্টের দামও। খুচরা পর্যায়ে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা সিমেন্টের বিক্রি মূল্য ৫৫০ থেকে ৬৬০ টাকা। বিশেষজ্ঞরা এই দাম বৃদ্ধির মূল কারণ মনে করছেন ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ।

নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে অনেক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সংকটে পড়েছে বলে মনে করছেন ঠিকাদাররা। অনেক জায়গায় বন্ধ হয়ে গেছে সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন কাজও বন্ধ হয়ে গেছে বলেও জানালেন তারা।

বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন রড ও সিমেন্টের যৌক্তিক দাম খতিয়ে দেখছে বলে জানালেন কমিশনের প্রথম সহ-সভাপতি কামাল মাহমুদ। আমদানিকারক ও উৎপাদকদের কাছে চিঠি দিয়ে ১১ ধরনের তথ্য জেনেছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন, রিহ্যাব বলছে, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে আবাসন ব্যবসায় স্থবিরতা নেমে এসেছে।

দেশে বার্ষিক রডের চাহিদা প্রায় ৬০ লাখ টন। অন্যদিকে সিমেন্টের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টন। বাণিজ্য মন্ত্রনালয় শীঘ্রই প্রয়োজনীয় এ পণ্য দুটির দাম বেঁধে দেবে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply