রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অবশ্যই তদন্ত করা হবে: গুতেরেস

|

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অবশ্যই তদন্ত করা হবে- বলে ঘোষণা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর, সেখানে গণহত্যা-যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তে আন্তর্জাতিক আদালত কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেয়া ভাষণে, বৈশ্বিক জ্বালানী সঙ্কটের জন্য মস্কোকেই দায়ী করেন বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নেতারা। তাদের অভিযোগ, জ্বালানী সরবরাহের নামে ব্ল্যাকমেইল করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

এদিন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন নিয়ে সোচ্চার ছিলেন বিশ্বনেতারা। তাদের বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে ইউক্রেনের বেসামরিকদের ওপর চালানো রুশ বাহিনীর নির্যাতন-নিপীড়নের বিষয়টি।

বৃহস্পতিবার জরুরী বৈঠক বসে নিরাপত্তা পরিষদে। এ সময়, জাতিসংঘ মহাসচিব ঘোষণা দেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ খতিয়ে দেখার।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা যুদ্ধাপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি অভিযোগ অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, একটি স্বাধীন এবং অবাধ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিচার কাজ চালানো হবে। এ ধরনের অপরাধ বন্ধ করতে যেকোনো মুল্যে অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এসব অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। এক্ষেত্রে ইউক্রেনের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি পক্ষকে সহায়তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কোলেবা, গেল ফেব্রুয়ারিতেও এই অধিবেশনে বসেছিলাম আমি। তখন রুশ প্রতিনিধি জানিয়েছিলেন- ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের। কিন্তু এখন দেখুন, তারা পুরো দেশে কি ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধ করছে। নতুন করে সেনা মোতায়েনের অর্থই হলো ইউক্রেনে আগ্রাসন আরও দীর্ঘায়িত করা।

বৈঠকে আলোচিত হয়, খাদ্য এবং জ্বালানী সঙ্কটের বিষয়টিও। ইউরোপীয় নেতাদের অভিযোগ, জ্বালানী সরবরাহ করা দেশগুলোকে ব্ল্যাকমেইল করছে রাশিয়া।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যানচেজ বলেন, রাশিয়াই জ্বালানী ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট অস্থিতিশীলতার কারণ। দেশটি জ্বালানীকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। অন্যান্য দেশগুলোকে ব্ল্যাকমেইল করছে গ্যাস সরবরাহ করার নামে। এই অরাজকতা বন্ধ করতে হবে।

এ অবস্থায় চীনের আহ্বান, কথার লড়াইয়ে না জড়িয়ে কার্যকর ব্যবস্থার মাধ্যমে ইউক্রেন সংঘাত বন্ধ করা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply