বিদ্যুৎ বিল না দেয়ায় সড়ক বাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অন্ধকারে বরিশাল নগরী

|

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা অর্ধশত কোটি টাকারও বেশি। পাওনা টাকা না পেয়ে সিটি করপোরেশনের সড়ক বাতি ও পানির পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ওজোপাডিকো। গত সোমবার (১৯ সেপ্টম্বর) রাত থেকে হঠাৎ করে একের পর এক বন্ধ হতে থাকে বরিশাল নগরের বিভিন্ন এলাকার সড়কবাতি। এর ফলে সন্ধ্যার পরে ভুতূড়ে নগরীতে পরিণত হচ্ছে বরিশাল। তাতে ভোগান্তিতে নগরবাসী।

৫৮ বর্গ কিলোমিটারের বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকার বর্তমান চিত্র এমনই। কোনো এলাকায়ই জ্বলছে না সড়ক বাতি।
বিসিসি জানিয়েছে, ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ১৬ হাজার সড়ক বাতি ও ১১টি পানির পাম্প বন্ধ।

ওজোপাডিকো এর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, ৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৯৪৩ টাকা বকেয়া রয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে আদায়ের চেষ্টা করছিলাম। মেয়রের সঙ্গেও এ নিয়ে বৈঠক হয়েছে।

বিসিসি এর নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানিয়েছেন, ১৬ হাজার বাতির মধ্যে সবগুলো বাতিই বন্ধ এখন। কেবল সোলার বাতি জ্বলছে। ১১টি পানির পাম্পের সংযোগ কেটে দেয়া হয়েছে। ওইসব এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ এখন।

এদিকে, উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন। প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল ইসলান লিটু বলেন, ১০ বছরের ঝামেলা ৪ বছরের মেয়রের ওপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। এর উদ্দেশ্য কী?

বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ জানান, বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ১ দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর রেফারেন্স দিয়ে ২৫ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে বলেন প্রতিমন্ত্রী।

সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, প্রতিমন্ত্রী যখন প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, তখন আমার তো বলার কিছু থাকে না। ভোক্তভোগী কারা হচ্ছে? জনগণ; তাদের তো দোষ নাই। আমাদের শোকজ করতে পারে। আমি যেহেতু মেয়র কিংবা আমাদের অফিসের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হতে পারে।

বিসিসির হিসেব অনুযায়ী, তাদের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের মোট পাওনা ৫৭ কোটি ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ১৫৯ টাকা। এরমধ্যে প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের সময়ে ২০ কোটি ও আহসান হাবিব কামালের আমলে বকেয়া ছিল ৪২ কোটি টাকা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply