বিড়বিড় করে ছোটন বললেন, বাইরে এত মানুষ এসেছে!

|

কোচ ছোটনকে নিয়ে এভাবে উদযাপনে মেতেছিলেন চ্যাম্পিয়নরা।

বিমানবন্দরে যখন সাফজয়ী নারীরা নামলেন তখনও হয়তো তারা বুঝতে পারেননি গণমাধ্যমকর্মী-ভক্ত-স্বজনদের উপস্থিতির মাত্রা। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাফুফে কর্তাদের যখন একে একে কেক খাইয়ে দিচ্ছিলেন সাবিনা তখন বিমানবন্দরের সেই রুমটিতে তিল ধারণের জায়গা নেই। এত মানুষের আবেগ ছুঁয়ে গেছে সাবিনাদের গুরু গোলাম রব্বানী ছোটনকে। গণমাধ্যমকর্মীদের জিজ্ঞেস করে জানলেন বাইরে কেমন ভিড়। হাজার মানুষ সকাল থেকে সাফজয়ী নারীদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অপেক্ষা করে আছেন তখন বিস্মিত তিনি। মেয়েদের ফুটবল যে আবেগ তৈরি হয়েছে সেটিই তো চেয়েছিলেন নানা সময় কটূক্তির শিকার হওয়া নারী ফুটবলের সাফল্যযাত্রার এই কারিগর। বিড়বিড় করে বলে উঠলেন, বাইরে এত মানুষ এসেছে!

এর আগে, বুধবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। সেখানে কেটে কেটে ও ফুলের শুভেচ্ছায় সাফ জয়ী নারীদের বরণ করে নেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল ও বাফুফে কর্মকর্তারা।

‘ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক’ সাবিনা খাতুন আছেন এই উদযাপনের মধ্যমণি হয়ে, যিনি দলের সবার কাছে পরিচিত ‘সাবিনা আপু’ হিসেবে। সাবিনার ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বের সাথে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের ট্যাকটিকাল নৈপুণ্যে আসে দেশের জন্য বহুল কাঙ্ক্ষিত এই জয়। নিজেদের উজাড় করে দিয়ে টুর্নামেন্টে গোলের বন্যা বইয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের নারীরা। বিপরীতে গোল হজম করেছে মাত্র একটি।

‘বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে মুখরিত পুরো বিমানবন্দর এলাকা। বাংলাদেশ দলকে বহনকারী বিমানের মধ্যেও ছিল উদযাপন। বিমানের মাঝেই মিষ্টি খাওয়ানো হয় ফুটবলারদের। সাফজয়ী খেলোয়াড়রা জানিয়েছেন, এমন রাজকীয় সংবর্ধনা আগে কখনোই পাননি তারা। তাদের স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে। আসরের ফাইনাল খেলার লক্ষ্য ছিল তাদের। ফাইনালটাও জিতে দেশবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে পেরে তারা গর্বিত ও আনন্দিত। আর সেটিই যেন পূর্ণতা পেয়েছে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের অভিব্যক্তিতে।

আরও পড়ুন: ক্রিকেটের টাইগার শোয়েব এখন ফুটবলের ফ্যান


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply