হ্যারি কেইন জাদুতে ব্রিটিশদের জয়

|

প্রতিবার বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড দল নিয়ে বাড়তি মাতামাতি থাকে ব্রিটিশ মিডিয়ায়। এবার রাশিয়ায় বিশ্বকাপ বলেই কিনা ব্রিটিশ মিডিয়ার মাতামাতিটা একটু কমই লক্ষ্য করা গেছে। তবে, ফুটবল বিশ্লেষকরা ইংল্যান্ডের বর্তমান দলটিকে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করছেন, যার প্রাণভোমরা টটেনহাম হটস্পার তারকা হ্যারি কেইন। সেই হ্যারি কেইনে সওয়ার হয়েই তিউনিস বাধা অতিক্রম করেছে ইংল্যান্ড। ২-১ গোলের জয়ে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে শুরু করেছে বিশ্বকাপ মিশন।

ভলগোগ্রাড অ্যারেনায় ইংলিশদের শুরুটাও ছিল দারুণ। ম্যাচের ১১ মিনিটেই অধিনায়ক হ্যারি কেইনের লক্ষ্যভেদে উৎসবে মাতে ইংল্যান্ড। এর পরও আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে ইংল্যান্ড। মাঝে মাঝেই পাল্টা আক্রমণে গোল পরিশোধের প্রচেষ্টা চালায় তিউনিসিয়াও। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে ডি-বক্সে বলের জন্য ছুটে যাওয়া বেন ইউসেফকে অহেতুক ফাউল করেন কাইল ওয়াকার। যদিও বল থেকে অনেকখানি দূরেই ছিলেন ইউসেফ। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। তবু ব্রিটিশদের ভরসা হয়ে গোলবারের নিচে তো জর্ডান পিকফোর্ড ছিলেনই। কিন্তু ফারজানি সাসি ঠাণ্ডা মাথায় গোল করে ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়নদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেন। ১-১ সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দু’দল।

বিরতির পর একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে ইংল্যান্ড। কিন্তু তিউনিসিয়ার রক্ষণ সাফল্যের সাথে সব প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দিচ্ছিল। মাঝে মাঝেই হতাশ ইংলিশদের সাথে তিউনিসিয়ার খেলোয়াড়দের কলহে জড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছিল। ম্যাচের মূল সময়ের পর অতিরিক্ত ৪ মিনিট সময়ের সিগন্যাল যখন দেয়া হচ্ছিল ততক্ষণে ইংল্যান্ডের সমর্থকরা এ ম্যাচের ভবিষ্যত ড্র ধরে হতাশায় মুষড়ে পড়েছিলেন। ঠিক তখনই কেইন জাদু! কেইরান ট্রিপারের নেয়া কর্নার গিয়ে পড়ে হ্যারি ম্যাগুইরের কাছে। ম্যাগুইরে হেডে বল পাস করেন করেই কেইনের কাছে। তিউনিশ গোলকিপারকে হতভম্ব করে দিয়ে দুর্দান্ত হেডে গোল করলেন কেইন। ঘাম দিয়ে যেন জ্বর ছেড়ে গেলো ব্রিটিশদের। আর তীরে এসে তরী ডোবার হতাশা নিয়ে হার মানলো তিউনেসিয়া।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply