নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে টোকিও: জাপানি রাষ্ট্রদূত

|

নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।

আগের বারের চেয়ে আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু হওয়া উচিত বলে মনে করে জাপান। রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলছেন, এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান ও পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে টোকিও। নির্বাচন কমিশন বিশেষ করে সিইসি ভালো কাজ করছেন, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, কোনো কারণে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে তার প্রভাব পড়বে অর্থনীতি, বিনিয়োগসহ সব ক্ষেত্রে।

জাতীয় নির্বাচনের বাকি আরও অন্তত এক বছর তিন মাস। যদিও সবখানেই শুরু হয়েছে ভোটের আলোচনা, তর্ক বিতর্ক আর বিশ্লেষণ। সেই আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন উন্নয়ন অংশীদার, বিশেষ করে পশ্চিমা কূটনীতিকরা। বিএনপির সাথে আনুষ্ঠানিক আলোচনা সেরেছে জাতিসংঘ ঢাকা মিশন। ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশন প্রধানও বসেছিলেন তাদের সাথে।

নির্বাচন কমিশনেও গেছেন কয়েকটি দেশের কূটনীতিক। আলাদাভাবে সিইসির সাথে দেখা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান ছাড়াও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত। ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ভালো কাজ করছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন করা খুবই কঠিন কাজ। তারপরও এখন পর্যন্ত কমিশন অনেক চেষ্টা করছে। পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে তাই আমরা এখনও আশাবাদী।

বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন অংশীদার জাপান ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরপরই তা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল। রাষ্ট্রদূতের আশা, আসছে নির্বাচন ভালো হবে। ইতো নাওকি বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হবে বলে বিশ্বাস করি। ২০১৮’র মত ব্যালট বাক্স ছিনতাই হোক, তা কাঙ্ক্ষিত নয়। রাজনৈতিক পরিস্থিতি নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনদিকে যাচ্ছে, তা আমরা গভীরভাবে নজর রাখছি। গতবারের চেয়ে এবার ভোট আরও অংশগ্রহণমূলক ও ভালো হওয়া উচিত।

চলমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে জাপান বলছে, এটা অব্যাহত রাখতে সবচেয়ে জরুরি স্থিতিশীলতা। এটা না থাকলে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ইতো নাওকি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। গত এক যুগে বাংলাদেশের অর্থনীতিসহ ব্যবসা বাণিজ্য বিনিয়োগের যে উন্নতি, তার মূল কারণ সঠিক নীতি ও স্থিতিশীলতা। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল আচরণ করার ওপর জোর দেন জাপানি রাষ্ট্রদূত।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply