যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার শাকিলকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ২০ সেপ্টেম্বর

|

যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার শাকিল হাসান ও ভিডিওজার্নালিস্ট শাহীন আলমকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ঘোষণা হবে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

এরইমধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সাক্ষ্যে আসামিদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া।

যুক্তিতর্কে বাদীর আইনজীবী বলেন, দুই সাংবাদিককে হামলার সময় ক্যামেরায় ধারণ করা চার মিনিটের ফুটেজ আদালতে দেয়া হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে আসামি রহিম, জব্বার, জাকিরের নেতৃত্বে অন্যান্যরা হামলা করছে। এই আসামিদের শনাক্ত করে ছবিও আদালতে দাখিল করা হয়েছে। যাতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয় আসামি রহিম, জব্বার, জাকিরের নেতৃত্বে শাকিল ও শাহিনকে মারধর করে ও পরে শাকিলকে কেরাসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টা করে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী নজিবুল্লাহ হিরু যুক্তিতর্কে বলেন, দুই সাংবাদিক চাঁদা চাইতে গেলে ব্যবসায়ী নেতারা তাদের মারধর করে। কিন্তু কোনো ব্যবসায়ী নেতাকে আসামিপক্ষ সাফাই সাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করেনি।

আদালত দু’পক্ষের যুক্তি শুনে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক শাকিল হাসান বলেন, দায়িত্বরত সাংবাদিকের ওপর হামলার অর্থ শুধু ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আক্রান্ত করা নয় বরং এর অর্থ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হামলা। এ হামলার মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা আক্রান্ত হয়েছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি চালাচ্ছি, কারণ আমি প্রমাণ করতে চাই সাংবাদিকের ওপর হামলা হলে বিচার হয়। এর আগে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডসহ অসংখ্য সাংবাদিক নিপীড়নের ঘটনায় আমরা কোনো বিচার হতে দেখিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রাজধানীর চকবাজারে দেবীদাস লেনে অবৈধ পলিথিন ব্যাগ তৈরির অবৈধ কারখানা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে হামলার শিকার হন যমুনার সিনিয়র রিপোর্টার শাকিল হাসান ও ভিডিওজার্নালিস্ট শাহীন আলম। রহিম, জব্বার, জাকিরের নেতৃত্বে হামলাকারীরা তাদের ওপর চড়াও হয় এবং ক্যামেরা ভাঙচুর করে। হামলা থেকে বাঁচতে তারা নিকটস্থ একটি মুদি দোকানে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা শাকিল হাসানের গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন বাধায় দেয়ায় প্রাণে বেঁচে যান শাকিল।

এ ঘটনায় শাকিল হাসান বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। দুই আসামি গ্রেফতার হলেও পরে জামিনে বেরিয়ে যান তারা।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply