৮, ২, ০, ৬, ১, ৪, ৩, ৩, ০, ১, ০— হংকংয়ের ইনিংস ঠিক যেন মোবাইল নম্বর

|

ছবি: সংগৃহীত

৮, ২, ০, ৬, ১, ৪, ৩, ৩, ০, ১, ০— হংকংয়ের ১১ জন খেলোয়াড়ের রানের চিত্র এটি। ইনিংসগুলো একসাথে করলে বাংলাদেশি মোবাইল নম্বরই হয়। দলের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ইনিংস। ফলে দলও অলআউট হয় মাত্র ৩৮ রানে।

পাকিস্তানের ১৯৩ রানের জবাবে হংকংয়ের হার অনেকটা অনুমিতই ছিল। তবে কে জানতো, এমন বাজেভাবে হারবে। নাসিম শাহ তার দ্বিতীয় ওভারে দুই উইকেট নিয়ে উইকেটের পতন ঘটানো শুরু করলেও, হংকংয়ের ওপর চূড়ান্ত ধ্বংসযজ্ঞ চালান দলের দুই স্পিনার শাদাব খান ও মোহাম্মদ নওয়াজ। তাদের স্পিন বুঝেই উঠতে পারেনি হংকং ব্যাটাররা। দুজনে মিলে ২৮ বলেই ৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন। রান দিয়েছেন মাত্র ১৩।

হংকংয়ের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১৬ রান। অর্থাৎ তারা ১০ উইকেট হারায় মাত্র ২২ রানে। ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮ রানও আসে ওপেনার নিজাকাত খানের ব্যাট থেকে। ইনিংসে মাত্র দুইটি বাউন্ডারি আসে হংকংয়ের ব্যাটারদের ব্যাট থেকে। যার একটি মেরেছেন ওপেনার নিজাকাত, অপরটি আসে কিঞ্চিত শাহের ব্যাট থেকে।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ কোনো সদস্য দেশের বিপক্ষে হংকংয়ের এই ইনিংসই সর্বনিম্ন। এই রান এশিয়া কাপের ইতিহাসেও সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৮১ রান করেছিল আরব আমিরাত। এই ফরম্যাটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়ও এটি।

আরও পড়ুন: হংকংকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পাকিস্তান

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান ও হংকং দুই দলের জন্যই এই ম্যাচটি ছিল বাঁচামরার। ‘এ’ গ্রুপে দুই দলই এর আগে হেরেছে ভারতের বিপক্ষে। পাকিস্তানের আজকের জয়ের ফলে এবারের এশিয়া কাপের সুপার ফোরও নিশ্চিত হয়ে গেলো। ‘এ’ গ্রুপে পাকিস্তান ও ভারত এবং ‘বি’ গ্রুপ থেকে উঠেছে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।

স্কোরকার্ড:
পাকিস্তান ২ উইকেটে ১৯৩ (রিজওয়ান ৭৮*, ফখর ৫৩*, খুশদিল ৩৫*, এহসান ২-২৮)
হংকং ৩৮ (শাদাব ৪-৮, নওয়াজ ৩-৫)

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply