জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করেও শেষ রক্ষা হলো না মাসুদ-লিলি দম্পতির, ৮ বছর পরে ধরা

|

সিনিয়র করেসপনডেন্ট, মানিকগঞ্জ:

এনজিও’র মাধ্যমে গ্রাহকদের কোটি টাকা আত্মসাৎ করার মামলায় সাড়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিলো মাসুদ রানা (৪৩) ও লিলি বেগম (৩৩) দম্পতির। সাজা থেকে বাঁচতে মাসুদ রানা নাম পরিবর্তন করে সাজেদুল ইসলাম নামে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করেছিলেন স্বামী। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। প্রায় ৮ বছর পর ধরা পড়েছেন সিআইডির হাতে।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান ক্রিমিনাল ইনভেস্টিকেশন ডিপার্টমেন্ট’র (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী।

তিনি জানান, গ্রেফতার মাসুদ রানা ও তার স্ত্রীর বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম শানবান্দা গ্রামে। ২০০১ সালে তারা ‘গ্রামীণ শক্তি’ নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর এনজিওর মাধ্যমে গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় মামলা হয়। ৭টি মামলায় আদালত স্বামী-স্ত্রীকে সাড়ে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন। কিন্তু তারা গ্রেফতার এড়াতে জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম পরিবর্তন করে ময়মনসিংহ শহরে পালিয়ে ছিলেন।

বুধবার (১৭ আগস্ট) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ শহরের একটি বিউটি পার্লার থেকে তাদের গ্রেফতার কর হয়। দণ্ডাদেশ ছাড়াও মাসুদ রানা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আর‌ও ২১টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে বলে জানান সিআইডি কর্মকর্তা। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply